প্রথম আলো:

ছয়টি মুসলিমপ্রধান দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আংশিক নিষেধাজ্ঞা গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে কার্যকর হয়েছে। এর প্রতিবাদে অভিবাসন আইনজীবীরা বিমানবন্দরে অবস্থান নিয়েছেন। এ নিয়ে বাংলাদেশিরাও উদ্বেগের মধ্যে। তবে তাঁদের ভয়ের কারণ নেই বলে জানিয়েছেন অভিবাসন আইনজীবীরা।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতেই নিউইয়র্কের জেএফকে বিমানবন্দরে স্বেচ্ছাসেবী অভিবাসন আইনজীবীরা আসন পেতে বসেছেন। নিউইয়র্ক ইমিগ্রেশন কোয়ালিশনের পরিচালক কেমিলি ম্যাক্লার বলেন, ‘আমাদের এক হাজারের বেশি আইনজীবী অভিবাসীদের আইনগত সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত। যাঁরা এর মধ্যে ভিসা পেয়ে বিমানবন্দরে বাধার মুখে পড়বেন, তাঁদের সহযোগিতার জন্য ৪ নম্বর টার্মিনালে স্বেচ্ছাসেবীরা সার্বক্ষণিক অবস্থান করছেন।’

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভ্রমণ নিয়ে নিষেধাজ্ঞা আবার আংশিক কার্যকর হওয়ার খবরে অন্যান্য অভিবাসীদের মতো বাংলাদেশিদের মধ্যেও নানা উৎকণ্ঠা এবং প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আমাদের উত্তর আমেরিকা কার্যালয়ে অনেকেই ফোন করে তাঁদের উৎকণ্ঠার কথা জানিয়েছেন।

নিউইয়র্কে বাংলাদেশিদের পরিচিত অভিবাসন আইনজীবী ইউএস সুপ্রিম কোর্টের অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী প্রথম আলোকে জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের আংশিক কার্যকর হওয়ায় বাংলাদেশিদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। নির্বাহী আদেশে পরিষ্কারভাবে ছয়টি দেশের নাম উল্লেখ করা আছে। তিনি বলেন, ‘অভিবাসন আইনের কোনো লঙ্ঘন না করলে আমাদের প্রবাসীদের বিচলিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।’

মঈন চৌধুরী সতর্ক করেছেন, গুজব ছড়িয়ে, ভীতি ছড়িয়ে কোনো কোনো মহল বিভ্রান্ত করতে চাইছে। অভিবাসন-সংক্রান্ত যেকোনো প্রশ্নে অভিজ্ঞ আইনজীবী বা এ বিষয়ে যাঁরা কাজ করছেন এমন সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য তিনি পরামর্শ দিয়েছেন।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের আংশিক কার্যকারিতা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাওয়াইয়ে একটি মামলা করা হয়েছে। কার্যকারিতার ওপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা প্রদানের জন্য আইনজীবীরা আবেদন জানিয়েছেন। মনে করা হচ্ছে, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাটি আবারও জটিল আইনি প্রক্রিয়ায় পড়বে।

সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুসারে লিবিয়া, সিরিয়া, ইরান, সোমালিয়া, ইয়েমেন এবং সুদানের নাগরিক ও শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য সেখানে ঘনিষ্ঠ আত্মীয় থাকার প্রমাণ দিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, ইমিগ্রেশনের কাছে পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্য থাকার প্রমাণ দিতে না পারলে ছয়টি দেশের নাগরিকেরা ৯০ দিনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।