ব্যারিস্টার আবুল আলা ছিদ্দিকী:
অসাম্প্রদায়িকতার আড়ালে বাংলাদেশকে অরাজকতার দিকে ঠেলে দিয়ে কি লাভ জনাবা সুলতানা কামাল আপনি ও আপনার ধুসরদের! আপনি কোন সাহসে ‘ভাস্কর্য না থাকলে মসজিদ থাকাও দরকার নাই’ মন্তব্য করেছেন?

আপনার গ্রীক দেবীর ভাস্কর্য যদি ন্যায়ের প্রতীক হয়, তাহলে বুড়িগঙ্গা নদীর বহমান পানির মাঝখানে স্থাপন করে বুড়িগঙ্গার পানিকে পরিস্কার বিশুদ্ধ পানিতে রূপান্তর করে দেখান! যদি পারেন তাহলে নিশ্চয় এটা যোগ্য! আশা করি সে কোন দিন ন্যায় বিচার করতে পারেনি কিংবা সত্যিকার ন্যায়ের বিচারের প্রতীকও না যদিও আপনাদের মত বাকপাপীদের জন্য ন্যায় বিচারের প্রতীক হতেও পারে।

বাংলাদেশ একটি শান্তিপুর্ন দেশ। এই দেশে সকলে নিজ ধর্ম পালন করতে পারে। যার প্রমান অনেক শতাব্দী আগে থেকে সুন্নী-শিয়া, হিন্দু-ইস্কন, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানরা এক সাথে বসবাস করা। অথচ সাম্প্রদায়িক দেশ ভারত ও পাকিস্তানে, যা কল্পনা করা সহজ ব্যাপার না।

জনাবা সুলতানা কামাল, আপনি কোন ধর্ম পালন করবেন কিংবা আপনার বাসস্থানে ভাস্কর্য রেখে পুজা করবেন কিনা সেটা বাংলাদেশ সংবিধান মতে একান্তই আপনার ব্যাপার। এর মানে আপনি কোন কোন ধর্মের উপাসনালয় (মসজিদ) থাকবে কি থাকবে না- সেটার সিদ্ধান্ত দিতে পারেন না।

আপনারা ভাস্কর্য বসাতে আন্দোলন করছেন সর্বোচ্চ আদালতের সম্মূখে কিংবা এন্যাক্স ভবনের সামনে। আপনাদের জ্ঞান কি ঘুনে ধরছে সর্বোচ্চ আদালতের সীমানার ভিতরে একটা সুপ্রাচীন মসজিদ আছে। তাছাড়া জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে হাজার হাজার মানুষ যখন ঈদের নামাজ পড়বেন-তখন সুপ্রীম কোর্টের এন্যাক্স ভবনের সামনে ভাস্কর্য বসালে তা দেখা যাবে এটা বুঝতে পারেন না!

তাছাড়া ভাস্কর্যটি দেশের সংখ্যাগুরু মানুষের যেই জায়গায় বসালে আপত্তি আছে সেই জায়গায় না বসিয়ে অনাপত্তি আছে এই রকম জায়গায় বসালে আপনাদের সমস্যা কি?

মনে রাখবেন বাংলাদেশে কিছু জ্ঞানপাপী আছে যারা নিজেকে অসপ্রাদায়িকতার ধারক বলে অন্যের ধর্ম বিশ্বাসকে আঘাত করে এবং এই আঘাতকারীরা শুধু একটা ধর্মের বিরূদ্ধে কথা বলে সর্বদা যার মধ্যে আপনি আছেন।

ভাস্কর্য নিয়ে কথা বলেন কিন্তু দেশের দূর্যোগ কবলিত মানুষের ও দেশের সামগ্রিক অরজকতা নিয়ে কথা বলেন না! আপনারা আসলেই বিরল প্রজাতির অহাম্মক মানূশরূপী জ্ঞান ও বাকপাপী।

আপনাদের কারনে দেশ আজ সাম্প্রদায়িকতার শিকার। একটা কথা মনে রাখবেন এটা সংখ্যাগরিষ্ট মুসলীমের শান্তিপুর্ন দেশ। মনে রাখবেন আপনাদের মত বাকপাপীদেরকে জনগণ চিরস্থায়ী ঘৃনা করবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম।

আর লাল সবুজের এই দেশে মহান আল্লাহর ঘর মসজিদ ছিল, আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে ইনশাআল্লাহ।