বিদেশ ডেস্ক:
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানতুরস্কের সংবিধান সংশোধনের জন্য অনুষ্ঠিত গণভোটে জয় পাওয়ার দাবি করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়যুক্ত হয়েছে ‘হ্যাঁ’ ভোট। জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, ‘তুর্কি জনগণের এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ আমাদের দেশের একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।’

তবে রিপাবলিকান পিপলস পার্টিসহ (সিএইচপি) প্রধান দুই বিরোধী দল এই ফল মানতে নারাজ। তারা এই ফলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ৬০ শতাংশ ভোট পুনর্গণনার দাবি তুলেছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও রয়টার্সের খবর, গণভোটে ‘জয়’ উদযাপন করছেন এরদোয়ান। তার দাবি, বেসরকারি ফলে আড়াই কোটি (৫১.৩৭ শতাংশ) ‘হ্যাঁ’ ভোট এসেছে। এর বিপরীতে প্রাপ্ত ‘না’ ভোটের সংখ্যা ১ কোটি ৩০ লাখ (৪৮.৬৩ শতাংশ)। ইস্তাম্বুলে এক শোভাযাত্রায় ভোটগণনা শেষের খবর জানান এরদোয়ান। ৯৯.৪৫ শতাংশ ব্যালটই গণনা করা হয়েছে বলে দাবি তার।

তুরস্কের পূর্বাঞ্চলে রবিবার সকালে শুরু হয় এই ভোটগ্রহণ। দেশটিতে মোট ভোটার ৫ কোটি ৫৩ লাখ। ১ লাখ ৬৭ হাজার ভোটকেন্দ্রে ৮৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানায় বিবিসি। তবে কীভাবে ভোটদানের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে তা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রদেশ দিয়ারবাকিরের একটি ভোটকেন্দ্রের কাছে তিন ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছে বিবিসি ও রয়টার্স।

এদিকে এরদোয়ানের দাবি করা ‘হ্যাঁ’ ভোটের জয় বহাল থাকলে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীর পদ বিলুপ্ত হবে এবং ভাইস প্রেসিডেন্টের পদ সৃষ্টি হবে। তখন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের আওতায় চলে যাবে দেশটির গোটা আমলাতন্ত্র। এটি কার্যকর হবে ২০১৯ সালের নভেম্বরের নির্বাচনের পর। তখন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান পাঁচ বছর করে আরও দুই মেয়াদে নির্বাচিত হতে পারবেন। সব মিলিয়ে আগামী একযুগ (২০২৯ সাল পর্যন্ত) তুরস্কের প্রেসিডেন্ট থাকতে পারবেন এরদোয়ান।

তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম আঙ্কারায় জনসাধারণের উদ্দেশে বক্তৃতায় বলেছেন, আমাদের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে নতুন এক অধ্যায় শুরু হলো। আমরা সবাই ভাই ভাই। আমরা একই সত্তা, একই জাতি।’