যুগান্তর : হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনের ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ড. রেজা কিবরিয়ার গ্রামের বাড়িতে তার বাসভবনে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ।

এজাহারভুক্ত আসামির খুঁজে বুধবার বিকালে তল্লাশি চালায় পুলিশ। এ সময় পার্শ্ববর্তী গ্রামের জামে মসজিদে মাইকিং করে পুলিশের তল্লাশির খবর জানালে গ্রামবাসী লাঠিসোঁটা নিয়ে রেজা কিবরিয়ার বাড়িতে অবস্থান নেয়।

গ্রামবাসীর অবস্থান দেখে পুলিশের টহল টিম বাড়ি থেকে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে পার্শ্ববর্তী গোপলাবাজার তদন্তকেন্দ্রে অবস্থান নেয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জামাল আহমদ সুমনের ওপর গত ১৯ ডিসেম্বর স্থানীয় বান্দেরবাজার এলাকায় রেজা কিবরিয়ার সমর্থকরা হামলা করে।

এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান সেফু রেজা কিবরিয়ার বাড়িতে অবস্থান করছেন খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়।

এ সময় ২ তলাবিশিষ্ট বাসার কক্ষে তল্লাশির সময় কে বা কারা মসজিদের মাইকে মাইকিং করে রেজা কিবরিয়ার বাসায় পুলিশ ও অজানা মানুষের আসার খবর দিয়ে গ্রামবাসীকে লাঠিসোঁটা নিয়ে আসার জন্য বলা হয়।

মাইকিং শোনে শত শত গ্রামবাসী লাঠিসোঁটা নিয়ে আসলে অবস্থা বেগতিক দেখে পুলিশ দ্রুত স্থান ত্যাগ করে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে অবস্থান নেয়।

এ ব্যাপারে ড. রেজা কিবরিয়ার একান্ত সহকারী সোহরাব হোসেন মাহদি ও শাহাবুদ্দিন শুভ জানান, তারা বাসায় অবস্থান করছিলেন। এ সময় হঠাৎ একদল পুলিশ এসে বাসায় তল্লাশি চালায়। এ সময় পুলিশ আসামি ধরার নাম করে বিভিন্ন কক্ষে গিয়ে আমাদের মালামাল তছনছ করতে থাকে। এক পর্যায়ে গ্রামবাসী মসজিদের মাইকে মাইকিং করলে পুলিশ চলে যায়।

এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার এসআই সামছুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মুজিবুর রহমান সেফু রেজা কিবরিয়ার বাড়িতে অবস্থান করছেন- এমন খবরে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। তখন মসজিদের মাইকে অপপ্রচার করে গ্রামবাসীকে বিভ্রান্ত করে পুলিশের কাজে বাধা দেয়া হয়। এ সময় আসামি না পেয়ে আমরা চলে আসি।

এদিকে ড. রেজা কিবরিয়ার ফেসবুক পেজে এক ভিডিও বার্তায় ও স্ট্যাটাস দিয়ে জানান, তার বাসায় পুলিশ হামলা চালিয়েছে এবং তল্লাশি চলাকালে মসজিদের মাইকে যে ঘোষণা দেয়া হয় সেটা আপলোড করা হয়েছে। তল্লাশি চলাকালে নবীগঞ্জ উপজেলার ১নং বড় ভাকৈর ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচারণায় ছিলেন তিনি।

ড. রেজা কিবরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,আমাকে হয়রানি করার জন্যই এই তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ।