স্পোর্টস ডেস্ক:

আগের ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে ১৩৬ রানের লজ্জাজনক পরাজয়। এরপর যেখানে প্রয়োজন ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর, সেখানে বাংলাদেশ আবার ভারতের কাছে রীতিমত পর্যদুস্ত। সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারলো টাইগাররা। বাংলাদেশের করা ১৭৩ রান টপকাতে নেমে ৮২ বল হাতে রেখেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রোহিত শর্মার দল।

ভারতীয় অধিনায়ক এবং ওপেনার রোহিত শর্মা একাই বলতে গেলে হারিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশকে। তিনি অপরাজিত থাকেন ৮৩ রানে। ১০৪ বলে ৫টি বাউন্ডারি এবং ৩টি ছক্কায় ইনিংস সাজান তিনি। বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান এবং রুবেল হোসেন নেন একটি করে উইকেট।

ইনজুরির কারণে তামিম ইকবাল ছিটকে গেছেন এশিয়া কাপ থেকে। যে কারণে বাংলাদেশের ওপেনিংয়ে এখন আর অভিজ্ঞ কেউ নেই। লিটন কুমার দাস এবং নাজমুল হাসান শান্ত। যেখানে শান্তর অভিষেকই হলো মাত্র, আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে। কিন্তু যে সুযোগ তিনি পেলেন, সেটাকে কোনো কাজেই লাগাতে পারলেন না শান্ত। উল্টো দুই ম্যাচে বাংলাদেশকে কঠিন বিপদে ফেলে গিয়েছেন।

লিটন কুমার দাসকে মনে করা হচ্ছিল তামিমের আদর্শ জুটি। কিন্তু ব্যাট হাতে তিনি যেভাবে এলোমেলো শট খেলা শুরু করলেন, তা দেখে অনেকেই বলবে, এমন শট তো অলিগলির ক্রিকেটাররাও খেলে না। হাস্যকরভাবেই তিন ম্যাচে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে আউট হয়েছেন তিনি।

ওপেনাররা যে ব্যর্থতার সূচনা করেন, সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না আর পুরো দল। প্রথম ম্যাচে মিঠুন আর মুশফিক মিলে দারুণ একটা জুটি গড়ে এবং সেঞ্চুরির পর মুশফিকের বীরোচিত ব্যাটিংই বাঁচিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশকে। দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে এবং আজ ভারতের বিপক্ষে পুরো ব্যাটিং লাইনআপই দিল ব্যর্থতার পরিচয়।

বাংলাদেশের করা ১৭৩ রানের জবাব দিতে নেমে রোহিত শর্মা আর শিখর ধাওয়ানই তুলে ফেলেন ৬১ রান। ১৫তম ওভারে এসে সাকিব আল হাসান তুলে নেন শিখর ধাওয়ানের উইকেট। এরপর ২৪তম ওভারের শেষ বলে আম্বাতি রাইডুকে উইকেটের পেছনে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন রুবেল হোসেন।

৩৬তম ওভারের তৃতীয় বলে মাশরাফিকে ছক্কা মেরে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে চেয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ৩৭ বলে ৩৩ রান করেন আউট হন সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক। শেষে দিনেশ কার্তিককে নিয়ে জয়ের বাকি কাজ শেষ করেন রোহিত শর্মা।