সিবিএন:

শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোঃ আবুল কালাম বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে গত বছরের ২৫ আগষ্টের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৭লক্ষাধিক রোহিঙ্গা উখিয়া-টেকনাফের বনবিভাগের জায়গা আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রিত এসব রোহিঙ্গাদের সরকার, বিভিন্ন দাতা সংস্থা এনজিওর মাধ্যমে ব্যাপক সাহায্য সহযোগিতা করে আসছে। বিশাল এ জনগোষ্ঠির খাদ্য খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা সেবা প্রদান করাটা সত্যিই একটি বড় চ্যালেঞ্জ কিন্তু সরকার সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় সকল বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে সফলতা দেখিয়েছেন। সরকারের সফলতার এক বড় অংশীদার মানবসেবী সংস্থা হোপ ফাউন্ডেশন।

বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় উখিয়ার মধুরছড়া হোপ ফাউন্ডেশন কর্তৃক নবনির্মিত ৪০ শয্যাবিশিষ্ট হোপ ফিল্ড হসপিটাল ফর উইমেন উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার উপরোক্ত কথা গুলো বলেন।

তিনি এসময় আরো বলেন, রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয়দের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হবে। হোপ ফিল্ড হসপিটালের কার্যক্রম সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার বলেন, হসপিটালের সার্বিক পরিবেশ, পরিস্থিতি ভালো লেগেছে।

হোপ ফাউন্ডেশনের ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট ইফতেখার মাহামুদ তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে উপস্থাপন করতে গিয়ে বলেন, চিকিৎসা বঞ্চিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশী-বিদেশী সংস্থার পাশাপাশি ‘হোপ ফাউন্ডেশন’ বাংলাদেশ সরকার, ইউএনএফপিএ, এভরি মাদার কাউন্টস্-এর আর্থিক সহায়তায় শরণার্থী পূর্নবাসনের শুরু থেকেই মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে আসছে। বর্তমানে হোপ ফাউন্ডেশনের ১০টি অস্থায়ী হসপিটাল চালু রয়েছে। স্থায়ী পরিকল্পনা নিয়ে ৪০ শয্যার এই হসপিটাল চালু করা হয়েছে। এ হসপিটালে অভিজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মা ও শিশু মৃত্যুর হার কমানো হোপ ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। হোপ ফাউন্ডেশন-ই একমাত্র বেসরকারী সংস্থা যেখানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশী সংখ্যক মিডওয়াইফদের কর্ম-সংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পেরেছে। হোপ হসপিটালটি মুলত ‘হোপ ফাউন্ডেশন ফর উইমেন এন্ড চিলড্রেন অব বাংলাদেশ’ এর একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। ১৯৯৯ সাল থেকে হোপ হসপিটালটি কক্সবাজারের রামু উপজেলার চেইন্দা নামক স্থানে কাজ শুরু করে। বর্তমানে কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলায় হোপ ফাউন্ডেশন কাজ করছে। রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয়দের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হবে। এছাড়াও হিস্টুলা রোগীমুক্ত কক্সবাজার ঘোষণার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, হোপ ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফেরদৌসুজ্জামান, ড. গারডন ওয়ারলিক, ‘হোপ ফাউন্ডেশন ফর উইমেন এন্ড চিলড্রেনএর মেডিকেল পরিচালক ড. রুনাল্ড ভিলা, জার্মানির সোলার কিসক এর সিইও আন্দ্রিয়াস সিভস। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা  করেন সিওও কে এম জাহিদুজ্জামান।