রোববার কিশোর ফুটবল দলের ১২ সদস্য এবং তাদের কোচকে উদ্ধারে প্রথম অভিযান শুরু হয়। দু’দিনের অভিযানে মোট আট কিশোরকে উদ্ধার করা হয়। সোমবার গুহার ভেতর থেকে চার কিশোরকে বের করে আনার পর দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়। গুহার প্রবেশপথ থেকে চার কিলোমিটার দূরে আটকা রয়েছে শেষ চার কিশোর ও তাদের কোচ একাপল চ্যান্তাওং।
ওই কিশোর দলটি গুহায় আটকা পড়ার পর থেকেই তা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি কাড়ে। বিভিন্ন দেশে থেকে অভিজ্ঞ ডুবুরিরা উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন। ব্রিটিশ ডুবুরি ও মার্কিন বিমান বাহিনীর সদস্যরা, অস্ট্রেলিয়ার চিকিৎসক পানির নিচে কাজ করতে পারা রোবট এবং বেলজিয়ামের এক নাগরিকও উদ্ধারকর্মীদের সঙ্গে অভিযানে যুক্ত হয়েছেন।
গুহার ভেতরে নিখোঁজ হওয়ার দশদিন পর ওই ১২ কিশোর এবং তাদের কোচের সন্ধান পান ডুবুরিরা। যে আটজন কিশোরকে এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে তাদের জনসম্মুখে আনা হয়নি। তবে তারা শারীরিক অবস্থা ভালো আছে বলে জানানো হয়েছে। সোমবার যে চারজনকে উদ্ধার করা হয়েছে তাদের নিকটবর্তী চিয়াং রাই শহরের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার যে চারজনকে উদ্ধার করা হয়েছে তাদেরও হাসপাতালে রাখা হয়েছে। তারা এখনও তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে পারেনি। থাই কর্তৃপক্ষ বলছে, উদ্ধার হওয়া কিশোরদের জাওভাত খেতে দেয়া হচ্ছে। দশদিন ধরে না খেয়ে থাকার কারণে তাদের এখন ভারী খাবার দেয়া হচ্ছে না।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।