বি এম হাবিব উল্লাহ, চকরিয়া:
চকরিয়ায় দা-কিরিচ দিয়ে যুবকের হাত পা এবং মাথা কাটার সেই বহুল আলোচিত মামলার পলাতক আসামী আবু অবশেষে গ্রেপ্তার হয়েছে।
২৯ জুন দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে হারবাং পুলিশ।
গত ১১ জুন চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের পহরচাদাঁ সবুজপাড়ার বাসিন্দা দলিলুর রহমানের পুত্র বদিউল আলমের (৩০) বসতভিটার আঙ্গিনার জমি জবর দখল চেষ্টার ঘটনায়, বাধাঁ দিতে গেলে, একই এলাকার মৃত মকবুল আহমদের পুত্র আবুল হোসেন প্রকাশ আবু সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এলোপাথারী দা এবং কিরিচের কুপে বদিউল আলমের হাত পা এবং মাথায় মারাতœক জখম করে। ওই সময় গুরতর আহত হয়ে বদিউল আলম এখনও মুমুর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিতসাধীন আছে। এ ঘটনায় বদিউল আলমের স্ত্রী শারমিন আক্তার বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় একটি জি. আর মামলা করে। মামলা নং-৪১ তারিখ-১৪ জুন ১৮ ইংরেজী। বাদী মামলা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে, কিছু দিন পালিয়ে থাকলেও পরে আবু তার বাহিনী নিয়ে বদিউল আলমের বসতভিটার আঙ্গিনার সব জমি জবর দখল করে নিয়েছে বলে মামলার বাদী শারমিন আক্তার প্রতিবেদককে জানান। এলাকাবাসী জানান, এতো বড় একটি ঘটনার পরও আবু বীরদর্পে ঘুরে ফিরে ভোক্তভোগির জমি জবর দখল করেছে। এদিকে চকরিয়া থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, আইন সবার জন্য সমান। সৃষ্ট সন্ত্রাসী ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে এবং পুলিশের ধারাবাহীক অভিযানের সুত্র ধরেই আসামী আবুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাদী অভিযোগ করেন, আবু সে চেয়ারম্যান সহ সমাজের কোন ব্যাক্তিবর্গের কথারও তোয়াক্কা করেনা। আবু এলাকার নব্য কোটিপতি। অভিযোগ উঠছে, সে ইয়াবা কারবার করেই টাকার মালিক বনেছে। বাদী শারমিন বলেন-আবু মুলত একজন টিউবওয়েলের মেস্ত্রী। তবে তার এখন কোটি টাকার কারবার। তাই সে এলাকার কাউকেই তোয়াক্কা করেনা কেবল টাকার জোরেই। আহত বদিউল আলম সহ ভোক্তভোগি পরিবারের অন্যদেরও একই আহাজারী, আবু এলাকার নাম করা সন্ত্রাসী, তার নামে অনেক মামলাও রয়েছে। সে এলাকার অনেক জমি জমা জবর দখল সহ আমাদের জমিও দখল করেছে। তার হাত থেকে জমি ছাড়াও আমাদের পরিবারের সদস্যদের জান মালের নিরাপত্তা নেই। তাই পুলিশ সহ সর্বস্থরের মানুষের সহযোগিতা কামনা করছি আমরা।