প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রার্থী ও বিখ্যাত পরিবেশ বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. আনসারুল করিম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে মহেশখালীবাসীর মনে কথা যথাযথভাবে পৌছেনি। একারণে মহেশখালীবাসী দীর্ঘদিন ধরে সবকিছুতে বঞ্চিত হয়ে আসছে। আমি নির্র্বাচিত হয়ে সংসদে যেতে যাওয়ার সুযোগ পেলে আপনাদের মনের কথা গুলো প্রধানমন্ত্রীর কাছে সঠিকভাবে তুলে ধরবো। আর আপনাদের ভাগ্যোন্নয়নে নিজেকে উৎসর্গ করবো।

গতকাল বুধবার (২০) মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার জনগণের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে পুরান বাজার তহশিল অফিস চত্বরে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। গত মঙ্গলবার ও গতকাল বুধবার মাতারবাড়ি ইউনিয়নের উত্তর রাজঘাট, সিকদারপাড়া, নতুনবাজার, বাংলাবাজার, মগডেইল বাজার, শান্তিবাজার ও দক্ষিণ রাজঘাট এলাকায় ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় ও গণসংযোগ করেন নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রার্থী ড. আনসারুল করিম।

ড. আনসারুল করিম বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং মহেশখালীর জনগণের মাঝখানে একটি দেয়াল তৈরী করে রেখেছে। সেই দেয়াল ভাঙ্গতে হবে। অন্যথায় কোন উন্নয়নই যথার্থ হবে না। সাধারণ মানুষও বঞ্চিত থেকে যাবে। ইনশাল্লাহ আমি নির্বাচিত হলে, সেই অদৃশ্য দেয়াল ভেঙ্গে ফেলব।

মাতারবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদের সভাপতিত্বে এবং সাবেক ছাত্রনেতা কামাল হোছাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মাতারবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অ্যাড. মোস্তাক আহমেদ, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ছালেহ আহমদ সামাদ, সাবেক মেম্বার জাবের আহমেদ। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান। বক্তব্য রাখেন ফরিদুল আলম, জুয়েল হোসেন, ননু মিয়া প্রমুখ।

এছাড়াও উপস্থিত পৌর আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফা কামাল, পৌর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মিফতাহুল করিম সিকদার বাবু, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. কাশেম, আক্তার আহমেদ, মাওলানা রশিদ আহমেদ, মাওলানা আমীর উদ্দিন, মাওলানা এনামুল হক, জয়নাল আবেদিন, ভুট্টু প্রমুখ।

মাতারবাড়ি দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। একারণে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। স্থানীয় জনগণ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধির কাছে ধর্ণা দিয়েও কোন সুফল পায়নি। শেষ পর্যন্ত জনগণ জলাবদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য ড. আনসারুল করিমের শরণাপন্ন হন। পরে ড. আনসারুল করিম জলাবদ্ধ এলাকা পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি (ড. আনসারুল করিম) কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প এবং সরকারি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উচ্চ পর্যায়ে কথা বলে এক সপ্তাহের মধ্যে সমাধানের আশ^াস দেন।

এদিকে বাবার নির্বাচনীয় প্রচারণায় হাল ধরতে যোগ দিয়েছেন ড. আনসারুল করিমের জ্যেষ্ঠ পুত্র সুপ্রীম কোর্টের স্বনামধন্য আইনজীবী ব্যারিস্টার আদনান এমএল করিম ও ছোট ছেলে আয়মান করিম। পুরো পরিবার নিয়ে গণমানুষের কাতারে মিশে যাচ্ছেন বিখ্যাত এই পরিবেশ বিজ্ঞানী।