ইমরান হোসেন মুন্না

বাল্যবিবাহ কে না বলুন সমাজ থেকে বাল্যবিবাহ নামের কুসংস্কারকে দুর করুন। দেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বাল্যবিবাহ অত্যন্ত ভয়াবহ একটি সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন অনুসারে বাল্যবিবাহ বলতে বাল্যকাল বা নাবালক বয়সে ছেলেমেয়েদের মধ্যে বিবাহকে

বোঝায়। এ ছাড়া বর-কনে উভয়ের বা একজনের বয়স বিয়ের দ্বারা নির্ধারিত বয়সের চেয়ে কম বয়সে হলে তা আইনে বাল্যবিবাহ বলে চিহ্নিত। জনসংখ্যাতত্ত্বের দিক দিয়ে অপেক্ষাকৃত প্রাপ্তবয়সে বিবাহ সুবিধাজনক। ভবিষ্যতে সন্তানের মা যিনি হবেন, তাঁকে অবশ্যই পরিপক্ব হতে হবে। কম বয়সী ছেলেমেয়ের মধ্যে

বাল্যবিবাহের কাজ সম্পন্ন হলে পবিত্র কোরআনে যে শান্তি ও সুষমার কথা বলা হয়েছে, তা বিপর্যস্ত হতে পারে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তিনিই তোমাদের এক প্রাণ থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং তার থেকে তার সঙ্গিনীকে সৃষ্টি করেন, যেন তার কাছ থেকে পায় শান্তি ও সুখময় বসবাস।’ (সূরা আল-আরাফ, আয়াত: ১৮৯)

ইসলাম বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার জন্য নারী বা পুরুষকে বালেগ বা প্রাপ্তবয়স্ক ও পরিপক্ব হওয়া অত্যাবশ্যকীয় বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছে। তাই শরিয়তের দৃষ্টিতে বাল্যবিবাহে নিরুৎসাহী করা হয়েছে। তবে বিবাহ-সম্পর্কিত পবিত্র কোরআনের আয়াত ও হাদিস সামনে রেখে জীবনের কঠিন বাস্তবতার আঙ্গিকে বিশ্লেষণ করলে, এটি একেবারে গ্রহণযোগ্য নয়।

মা-বাবা, অভিভাবক ও ধর্মীয় নেতারা যদি বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে সচেতন না হন, তাহলে এর অনুশীলন চলতেই থাকবে। ইলমে ফিকহের একটি সূত্র হচ্ছে, ‘মুকাদ্দিমাতুল হারামে হারাম’ অর্থাৎ ‘যা হারামের দিকে নেয় সেই কাজটিও হারাম।’ যে বাল্যবিবাহ ভগ্নস্বাস্থ্য, অপরিকল্পিত পরিবার, দাম্পত্য কলহ, প্রসবকালীন মৃত্যু, শিশুর অকালমৃত্যুসহ অনেক বিপদ ডেকে আনে। তাই আর নয় বাল্যবিবাহ, চলুন আমরা সচেতন হই। আমরা বদলালেই বদলে যাবে দেশ এবং সমাজ।