প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
মরহুম আমীরুল কবীর চৌধুরী ছিলেন একজন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। পেশাগত দক্ষতা, সততা, মহত্ব, সামাজিক দায়িত্ববোধ – সব দিক থেকেই তিনি ছিলেন অনুকরণীয়। তাঁর মত মহান ব্যক্তির কাছে রামুবাসীরা আজীবন ঋণী ও চিরকৃতজ্ঞ থাকবে।
সাবেক বিচারপতি, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের প্রথম চেয়ারম্যান ও রামু সমিতির সম্মানিত উপদেষ্টা মরহুম আমীরুল কবির চৌধুরী’র স্মরণে শোক সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ ও রামু সমিতির নেতৃবৃন্দ এভাবেই স্মরণ করলেন তাঁকে।
গত শনিবার (২ জুন) রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি জে বি এম হাসান , সাবেক সিনিয়র সচিব নাসির উদ্দিন, সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার সহিদুজ্জামান, সাবেক সচিব মাফরুহা সুলতানা, ব্যারিস্টার মিজান সাইদ, ডাক বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক আব্দুল মোমেন চৌধুরী, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা রবীন্দ্র শ্রী বড়ুয়া, ব্যারিস্টার নওরোজ মোহাম্মোদ রাসেল চৌধুরী, রামু সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুজন শর্মা, সহ-সভাপতি সাইমুল আলম চৌধুরী প্রমুখ। এতে সভাপতিত্ব করেন রামু সমিতির সভাপতি নুর মোহাম্মদ।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান তাঁর বক্তব্যে মরহুম বিচারপতি আমীরুল কবির চৌধুরীর পেশাগত দায়িত্ববোধ ও দক্ষতাকে স্মরণ করেন। সাবেক সিনিয়র সচিব নাসির উদ্দিন বলেন, “মরহুম আমীরুল কবীর চৌধুরী সামাজিক, ধার্মিক, বিচারপতি সব ক্ষেত্রেই ছিলেন মডেল। তাঁর যাপিত জীবনে কোন খুঁত ছিলনা। তিনি বেঁচে থাকবেন শত বছর ধরে”।
ব্যারিস্টার মিজান সাইদ মরহুম বিচারপতি আমীরুল কবির চৌধুরীর জুডিশিয়াল ইনটিগ্রিট (বিচারিক সততা, নিষ্ঠা) কে স্মরণ করে বলেন, বিচারক হিসেবে তিনি ছিলেন অনন্য উচ্চতার। সাবেক সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার সহিদুজ্জামান বিগত সরকারের সময় তাঁর গ্রামের বাড়ীতে যাওয়ার রাস্তা “আমীরুল কবীর চৌধুরী সড়ক” নামকরণ করার কথা উল্লেখ করে তাঁর অবদানের কথা স্মরণ করেন।
সাবেক সচিব মাফরুহা সুলতানা বলেন উন্নত সমাজ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য আরো অনেক আমীরুল কবীর চৌধুরী সৃষ্টি করতে হবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন হতে তেলাওয়াতের পর শোক প্রস্তাব পাঠ করেন রামু সমিতির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম। শোক প্রস্তাবে মরহুম আমীরুল কবীর চৌধুরী, সাবেক সাংসদ ওসমান সরওয়ার চৌধুরীর সহধর্মিনী রওশন সরওয়ার, প্রয়াত ডাঃ কিরণ শর্মা, মিসেস রোকেয়া সুলতানা বুলবুল এর বিদেহী আত্নার মাঘফেরাত ও শান্তি কামনা করা হয়।
এরপর সম্প্রতি স্থগিত হওয়া রামু উৎসব ২০১৮ উপলক্ষে পুরুস্কৃত “রামু সমিতি সম্মাননা ২০১৮” প্রদান করা হয়। এই বছর “রামু সমিতি সম্মাননা ২০১৮” পেয়েছেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক বাবু জ্ঞানেন্দ্র বড়ুয়া (মরণোত্তর), সাবেক বিচারপতি আমীরুল কবীর চৌধুরী (মরণোত্তর), রামু কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মোশতাক আহমদ ও চট্টগ্রাম সমিতির সাবেক সভাপতি আজিজুল হক চৌধুরী।
রামু সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুজন শর্মা তার বক্তব্যে বলেন, ঢাকাস্থ রামুবাসীরা সবসময় ঐক্যবদ্ধ থেকে সামাজিক দায়বদ্ধতা পালন করার চেষ্টা করে। তিনি রামু সমিতি, ঢাকাকে একটি অনুকরণীয় সামাজিক সমিতি হিসেবে দাঁড় করানোর উপর জোর দেন।
রামু সমিতির সভাপতি নুর মোহাম্মদ তার সমাপনী বক্তব্যে উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
ইফতার পূর্ব মোনাজাত পরিচালনা করেন হাবিবুল্লাহ হাবিব। এতে মরহুম আমীরুল কবীর চৌধুরী’র বিদেহী আত্মার মাঘফেরাত কামনা করা হয়।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রামু সমিতির প্রচার-প্রকাশনা ও সাহিত্য সম্পাদক মোহিব্বুল মোক্তাদীর তানিম।
উল্লেখ্য, সাবেক বিচারপতি আমীরুল কবির চৌধুরী গত ১ মে ৭৮ বছর বয়সে ঢাকার একটি হাসপাতালে ইন্তিকাল করেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।