মানবজমিন : আওয়ামী লীগকে হারানোর মতো কোন দল বাংলাদেশে নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বলেন, আমি একটা জরিপ করেছি। জরিপে দেখেছি আওয়ামী লীগ অনেক বেশি জনপ্রিয়। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২০০৮ এর নির্বাচনের চেয়েও ভালো করবে। আওয়ামী লীগকে হারানোর মতো কোনো দলই নেই। জনপ্রিয়তায় আওয়ামী লীগের ধারে কাছে কোনো দল নেই। জয় বলেন, আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় আসবেই। দেশের মানুষের বিশ্বাস ও সমর্থন আমাদের প্রতি চলে এসেছে। দলের শৃঙ্খলার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগে গ্রুপিং-লবিং থাকে, তবে আন্দোলন বা নির্বাচনের সময় সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নেমে যায়। আজ সোমবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলীয় নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বেলা তিনটায় অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। এতে রাজনৈতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের মতামত শোনেন জয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনসমূহের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা। পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, বিজয় নিয়ে আমি চিন্তা করি না, কিন্তু ষড়যন্ত্র আছে। খেয়াল রাখতে হবে আগামী এক বছর ৫ই জানুয়ারির (গত সংসদ নির্বাচন) মতো কোনও ঘটনা-দুর্ঘটনা যেন না ঘটে। ওই সময়ের মতো আগুন সন্ত্রাস যেন না ঘটে। আমরা অতীতে দেখেছি বিএনপি আগুন দিয়ে জ্বালাও-পোড়াও করেছে, ষড়যন্ত্র করেছে। এই ষড়যন্ত্র মোকাবেল করাই একটা চ্যালেঞ্জ। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ তাকে হারাতে পারবে না। জরিপটি কিভাবে হয়েছে জানতে চাইলে জয় বলেন, একটি পেশাদার প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে জরিপ করানো হয়েছে। এতে আমিও জড়িত ছিলাম। আমি মনে করি, এটি ওয়ান অব দ্য মোস্ট অ্যাকুরেট জরিপ। প্রতিবছরই জরিপ করা হয় বলেও জানান তিনি। সৌদি আরবে জিয়া পরিবারের ১২শ কোটি ডলার বিনিয়োগের অভিযোগকে বিএনপির মহাসচিব সম্প্রতি বানোয়াট বলে দাবি করেছেন। এ প্রসঙ্গে জয় বলেন, প্রমাণ হয়েছে তারা কিভাবে মিথ্যা বলে। এফবিআই বাংলাদেশে এসে সাক্ষ্য দিয়ে গেছে। সেখানে ফখরুল সাহেব কিভাবে বলেন যে, দুর্নীতি নেই। তাদের দুর্নীতির টাকা বিদেশ থেকে ফেরত এসেছে। নিশ্চয় তাদের আরও (দুর্নীতির) টাকা আছে, ধরা পড়বে। আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি প্রার্থী হচ্ছি না। এটি আপনাদের আগাম জানিয়ে রাখছি। আমার উদ্দেশ্য দলকে ক্ষমতায় আনা। এমপি-মন্ত্রী হওয়ার লোভ আমার নেই। সেটা ভবিষ্যতে দেখা যাবে। আগামী সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে কিনা জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, সেটি বড় কথা নয়। নির্বাচনটি অবাধ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হচ্ছে কিনা, সেটিই বড় কথা। তিনি বলেন, আমরা কাউকে নির্বাচনে আসতে বাধ্য করতে পারি না। এটা হলো গণতান্ত্রিক পথ। কোন দল যদি নির্বাচনে আসতে না চায় তাহলে আমাদের কিছু করার নেই। এতে আমাদের কোন দায়িত্ব নেই। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর নামে কোন টুইটার বা ফেসবুক একাউন্ট নেই। তবে নির্বাচনের আগে এটা করা হবে কিনা চিন্তা করা হচ্ছে। এখনও এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। নির্বাচনের আগে রাজনীতিতে এখন থেকে সক্রিয় হওয়ার ঘোষণা দেন জয়। তিনি বলেন,এতদিন ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। অনেকদিন দলের সঙ্গে বসা হয় না। দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় হয়নি। আমি যে জরিপ করেছি তার ফলাফল এত ভালো এসেছে যে এখন যদি নির্বাচন হয় আওয়ামী লীগ ২০০৮ এর চেয়েও বেশি ভোট পাবে। এটা দলের নেতাকর্মীদের জানাতে এসেছি। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে জরিপটি করা হয়েছে। এতে আওয়ামী লীগের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তিনি বলেন, অতীতে নির্বাচনের জন্য কাজ করেছি। এবারও করবো।