বান্দরবান প্রতিনিধি :

বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার মুরুং হোস্টেল থেকে উদ্ধার হওয়া বিরল প্রজাতির ৮টি কচ্ছপ গতকাল ৩ অক্টোবর ডুলা হাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কে হস্তান্তর করা হয়েছে।লামা মাতা মুহুরী রেঞ্জের বন কর্মকর্তা কামাল উদ্দীন আহমেদ দুপুর আড়াইটার সময় কচ্ছপ গুলো হস্তান্তর করেন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আলীকদম থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মুরুং হোস্টেল থেকে বিরল প্রজাতির ৮টি কচ্ছপ উদ্ধার করে,তবে এসময় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।পরে পুলিশ উদ্ধার করা কচ্ছপগুলো লামা বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করে।তবে কচ্ছপ উদ্ধার হওয়া বাড়ীতে গেলে জানা যায় সিজার নামে এক লোক কচ্ছপ গুলো মুরুং হোস্টেলে এনে রাখে সে সিসিএ ক্রিয়েটিব কনজারবেটিব এলায়েন্স নামে একটি এনজিওতে কাজ করে।

আলীকদম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী সাইদুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মুরুং কমপ্লেক্স থেকে ৮টি কচ্ছপ উদ্ধার করি পরে কচ্ছপগুলো স্থানীয় বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আলীকদম তৈন রেঞ্জের ফরেস্ট রেঞ্জার খন্দকার শামসুল হুদা জানান,শাহরিয়া সিজার নামে এক ব্যক্তি কচ্ছপগুলো আলীকদমের দুর্গম এলাকা থেকে ¤্রাে সম্প্রদায়ের মাধ্যমে সংগ্রহ করেন। শাহারিয়ার সিজার উদ্ধারকৃত কচ্ছপগুলো ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের কচ্ছপ প্রজনন কেন্দ্রের জন্য নিয়ে যাওয়ার কথা বললেও বাংলাদেশ বন্য প্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের গত ২৫ সেপ্টেম্বরের একটি অনুমতির ফটোকপি দেখান। তবে এ ‘অনুমতি’র সত্যতা জানার জন্য রবিবার তাকে লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তার (ডিএফও) নিকট পাঠানো হয়েছে। ডিএফও’র সিদ্ধান্তেই পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে আলীকদম মুরুং কমপ্লেক্সের তত্ত্বাবধায়ক ইয়োংলক মুরুং বলেন, এ বিষয়ে আমি জানিনা। কুরুকপাতা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য পাসিং ¤্রাে আমার অনুমতি ছাড়া কোন একসময় কচ্ছপগুলো কমপ্লেক্সে রেখেছিল। পাসিং ¤্রাে মেম্বার বলেন, শাহরিয়ার সিজার নামে একব্যক্তি কচ্ছপগুলো এখানে এনে রেখেছেন কোথা থেকে এনেছেন আমি কিছু জানি না,আমি শুধু চাকরি করি। তবে অভিযোগ রয়েছে, এর আগেও আলীকদমসহ বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকা থেকে বিরল প্রজাতির কচ্ছপ বেশ কয়েকবার নিয়ে যান এই শাহারিয়ার সিজার। বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা বিভাগের ডিএফও জহির উদ্দিন আকন স্বাক্ষরিত ৬ জুনের একপত্রে দেখা যায়, সাঙ্গু সংরক্ষিত বনাঞ্চল হতে বিভিন্নভাবে উদ্ধারকৃত বিরল প্রজাতির ১০টি পাহাড়ি কচ্ছপ ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের কচ্ছপ প্রজনন কেন্দ্রে স্থানান্তরের ‘অনুমতি’ দেওয়া আছে। স্থানীয় সলোমন  জানান, ইতোমধ্যেই এই কচ্ছপগুলো নিয়ে গেছে শাহরিয়া সিজার। নতুন করে পাহাড়ি কচ্ছপ ধরে পাচারের উদ্দেশ্যে মজুত করা হয়েছিল।লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন আহামদ জানান, উদ্ধারকৃত কচ্ছপগুলো কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কে হস্তান্তর করা হয়েছে।কচ্ছপ গুলো কোথা থেকে আনা হয়েছে কারা এনেছে সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি তবে তদন্ত চলছে তদন্ত শেষে জানা যাবে।এ ঘটনায় একটি অজ্ঞাত নামা মামলা করা হয়েছে।