হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ :
টেকনাফে রোহিঙ্গাদের সীম বিক্রি, ত্রাণ কার্ড জালিয়াতি, হোটেল সমুহে খোলা রাখা, বাসি খাবার বিক্রি, রোহিঙ্গাদের নিয়ে দালালী, যত্রতত্র মোবাইল সীম ব্যবহার, ভূয়া জন্ম ও জাতীয় পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) তৈরী, ভূয়া রেজিস্টার্ড করে রোহিঙ্গাদের সীম বিক্রি, যানবাহনে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইসহ অবৈধ কর্মকান্ডের ভ্রাম্যমান আদালত চলছে। ২৬ সেপ্টেম্বর প্রথম বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে অর্থ দন্ড দেয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রণয় চাকমার নেতৃতে এই মোবাল কোর্ট অব্যাহত থাকবে বলে স্বয়ং তিনি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, ২৬ অক্টোবর টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং, উনচিপ্রাং, তুলাতুলীসহ বিভিন্ন গ্রাম ও ছোট বাজারে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রণয় চাকমার নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে কম্পিউটার ও মোবাইলের দোকান, রেস্টুরেন্ট, চা দোকানদার ও ২টি যানবাহনকে নগদ অর্থ জরিমানা করা হয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনার খবরে অনেক দোকান বন্ধ করে সটকে পড়েন দোকানদাররা। অতিষ্ট এলাকাবাসী চলমান মোবাইল কোর্টকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন ‘রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে উপজেলায় পণ্যদ্রব্যের ভয়াবহ উর্ধ্বগতি, সব ধরণে যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এবং রোহিঙ্গাদের টাকার বিনিময়ে পারাপারসহ স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অসহনীয় হয়ে উঠেছে। এসব নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমান কোর্ট চলমান রাখা দরকার’।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রণয় চাকমা বলেন ‘রোহিঙ্গাদের সীম বিক্রি, ভুয়া জন্ম নিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরী, ত্রাণ কার্ড জালিয়াতী, ওভারলোড, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, রোহিঙ্গাদের নিয়ে সুযোগ সন্ধানী লোকদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে অবৈধ কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকায় অনেককেই অর্থ ও কারাদন্ড দেয়া হয়। এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে এবং বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে এ মোবাইল কোর্ট চলমান থাকবে’।