নিজস্ব প্রতিবেদক :

আমরা স্বপ্ন দেখি একদিন এই পৃথিবী মানুষের হবে, আমরা স্বপ্ন দেখি প্রতিটি মানুষ অন্য আরেকজন মানুষের কথা বলবে, কথাগুলো বলছিলেন জ্ঞানান্বেষণ পাঠাগার ও বিজ্ঞান চর্চা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক শিপ্ত বড়ুয়া। “সুশিক্ষার আলোয় আলোকিত হোক বিশ্ব” এই স্লোগান নিয়েকক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার পূর্ব রাজারকুল গ্রামে সৃষ্টি হয়েছে নতুন একটি স্বপ্নের এবং সে স্বপ্নের নাম জ্ঞানান্বেষণ পাঠাগার ও বিজ্ঞান চর্চা কেন্দ্র। ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে এই পাঠাগার এবং বিজ্ঞান চর্চা কেন্দ্রের সূচনা হয়। প্রসঙ্গত বর্তমানে এই পাঠাগার কক্সবাজার জেলায়আলোচিত এবং সর্বোচ্চ পাঠক নিয়ে পরিচালিত।

গ্রামের এক ঝাঁক তরুণ প্রাণের সমন্বিত উদ্যোগে গড়ে উঠেছে এই প্রতিষ্টান। বিভিন্ন বইপ্রেমী এবং স্বপ্নবাজ মানুষদের দু – একটি করে দেওয়া বই নিয়ে এই পাঠাগারের পদযাত্রা। বর্তমানে পাঠাগারে সংগৃহীত বইয়ের সংখ্যা ২৫০ এর অধিক। তারপরেও গ্রামের বিভিন্ন কৌতূহলী পাঠকদের ইচ্ছেপূরণে আরো অনেক সাহিত্য এবং বিজ্ঞানভিত্তিক বইয়ের দরকার এই পাঠাগারে। পাঠাগার পরিচালক বলেন গ্রামের শত শত স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলে-মেয়েরা সাধারণ পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি অন্য বই পড়তে পারেন না কারণ গ্রামের অধিকাংশ ছেলে মেয়েদের পরিবার তেমন স্বচ্ছল নয়, তারাপাঠ্যবইয়ের বাইরে অন্যান্য কোন বই কিনে পড়তে পারেন না, আমরা গ্রামের তরুণরা মিলে তাই এই উদ্যোগটা নিলাম। এখন আমাদের পাঠাগারে ৫২ জন প্রবীণ এবং তরুণ নিবন্ধিত পাঠক আছে, এর মধ্যে অনেকেই অনেক নতুন বইয়ের খোঁজ করেন এবং আমরা তা দিতে পারছি না কারণবর্তমানে আমাদের বইয়ের সংকট। পাঠাগার পরিচালনা পর্ষদ বিভিন্ন প্রকাশক, পাঠক, এবং ছাত্র – জনতার কাছে পাঠাগারের জন্য নানান বিভাগের বই ভিক্ষা চান যাতে পাঠাগার আরো সমৃদ্ধ করা যায়।

স্থানীয় বিভিন্ন সাহিত্যিক এবং লেখকরা বলেন, একটি পাঠাগার একটি জাতিকে বদলে দিতে পারে, অজানাকে সহজে জানাতে পারে। জ্ঞানান্বেষণ পাঠাগার ও বিজ্ঞান চর্চা কেন্দ্র একটি মহৎ উদ্যোগ, এই প্রতিষ্টান একদিন অনেক বড় প্রতিষ্টানে রূপান্তর হবে কারণ পাঠাগারের পরিচালনা পর্ষদেরসবাই বইপ্রেমী এবং তরুণ, তাদের উদ্যমতা আছে। পাশাপাশি তারা বলেন স্থানীয় সরকারের উচিৎ এই প্রতিষ্টানের পাশে দাঁড়ানো এবং কিভাবে এটি বৃহৎ আকারে প্রতিষ্টা করা যায় সে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা।