শফিক আজাদ, উখিয়া (কক্সবাজার) :
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার পর গ্রাম ছেড়ে রোহিঙ্গা নারী-পুরুষেরা বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে শুরু করেছে। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে পালিয়ে আসা এসব রোহিঙ্গাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশানুযায়ী বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আশ্রিত রোহিঙ্গা ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে আর্ন্তজাতিক ভাবে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। মিয়ানমারে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরত পাঠানো হবে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া শুক্রবার বিকেল ৫টায় উখিয়ার কুতুপালং নতুন অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা বস্তি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিংকালে উপরোক্ত কথা গুলো বলেন।
তিনি এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ছড়িয়ে ছিটিয়ে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের এক জায়গায় নিয়ে আসা হবে। এ জন্যে কুতুপালং ও বালুখালীতে জায়গায় দেখা হচ্ছে। তিনি এসময় আরো বলেন, সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ইতিমধ্যে কি পরিমাণ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে তার কোন সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও সুত্রমতে প্রায় ৩লক্ষাধিক রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে বলে তিনি জানান।
সোয়া ১ঘন্টা কুতুপালং ও তৎসংলগ্ন রোহিঙ্গা বস্তি এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি ক্যাম্প ইনচার্জের কার্যালয়ে রোহিঙ্গাদের সার্বিক বিষয়ে নিয়েও এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। সন্ধ্যা ৬টা ১৫মিনিটের কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে স্থান ত্যাগ করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী। এসময় মন্ত্রী সাথে ছিলেন মন্ত্রী পরিষদ সচিব, মোঃ শফিউল আলম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শাহ কামাল, উখিয়া-টেকনাফ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি, কক্সবাজার সদর আসনের সংসদ সদস্য সাইমুন সরওয়ার কমল, মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক আলী হোসেন, শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোঃ আবুল কালাম, কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার ড. ইকবাল হোসেন, কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এড. সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলম, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিন, কুতুপালং ক্যাম্প ইনচার্জ রেজাউল করিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাউ লাউ মার্মা, উখিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল খায়ের।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া শনিবার সকালে টেকনাফের হ্নীলা,লেদাসহ তার আশে পাশের রোহিঙ্গা বস্তি পরিদর্শন করার কথা রয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।