মুহাম্মদ হোসাইন, কক্সবাজার :

ঐতিহ্যের ইনানী পাথুরে সৈকত পবিত্র ঈদুল আযহা পরবর্তী ঈদ উৎসবে বরাবরের ন্যায় এবারো পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত।

তবে বীচ বাইকের বেপরোয়া চলাচল ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ফেলে যাওয়া ময়লার স্তুপসহ যত্রতত্র পার্কিংয়ের কারণে ইনানী সমুদ্র সৈকত যেন এখন হ-য-ব-র-ল অবস্থা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সৈকতে নামার প্রধান ফটকে ২০ টির অধিক বীচ বাইক এলোমেলোভাবে ঘুরতে থাকে যেন দেখলে মনে হবে সাগরে যাওয়ার রাস্তাটিতে তারা অবরোধ কর্মসুচি দিয়েছে। জানতে চাইলে মিজান নামের একলোক জানায় তারা প্রতিটি মুহুর্তে এভাবে বীচ বাইক নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করে যেন পর্যটকদের ভাড়া নিতে সুবিধা হয়।

অন্যদিকে মেরিনড্রাইভ সড়কের উপরে নানাবিধ গাড়ি পার্কিং থাকায় রীতিমত আসা পর্যটকদের গাড়িসমুহ পুরো সৈকতের মুল ফটকগুলিতেও গাড়ি পার্কিংয়ের জঞ্জালে একাকার হয়ে আছে।

এছাড়া সৈকতে পাথুরের সারিসারি দৃশ্যাবলিতে যাওয়ার পথে পর্যন্ত বিভিন্ন ময়লা আবর্জনার স্তুপের দরুন নান্দনিক সৈকতটির সৌন্দর্য্য অনেকটা বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

এসবসত্তেও প্রতিদিন ঈদের আমেজে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠছে ইনানী সমুদ্র সৈকত।

স্থানীয় মোহাম্মদ আলী নামের এক ব্যবসায়ী বলেন আগে ইনানী সৈকতটি যে সুন্দর দেখাতো এখন তার সম্পুর্ণ ব্যতিক্রম।
তিনি আরো বলেন সৈকতের অব্যবস্থাপনায় অনেক পর্যটক দীর্ঘক্ষণ সৈকতে অবস্থান না করে দ্রুত চলে যাচ্ছে।

নুর মোহাম্মদ নামের এক পর্যটক বলেন সৈকতে শৌচাগারের কারণে অনেকে ভোগান্তিক শিকার হচ্ছেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উন্নতভাবে সৈকতের পরিবেশবান্ধব স্থানে বেশকয়েকটি শৌচাগার করতে পারলে এতে পর্যটক হয়রানি অনেকাংশে কমানো সম্ভাবনা রয়েছে।

এ বিষয়ে বীচ কর্মী বেলাল উদ্দিন জানায় বীচ বাইকের বেপরোয়া নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও সম্ভব হয়ে আসছেনা।
এছাড়া সৈকতের পরিচ্ছন্নতার জন্য আমরা রীতিমত চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিছুদিন আগেও কয়েক ট্রাক ডাবের কোসাসহ বর্ষার মৌসুমে পাহাড়ি ঢলে নেমে আসা ময়লাগুলো আমাদের লোকজন দিয়ে অন্যত্রে সরিয়ে নিয়েছি। তবে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা আমরা অটুট রেখেছি।

জানতে চাইলে ইনানী ট্যুরিষ্ট পুলিশের ওসি মোহাব্বত খান বলেন সৈকতের দুইটি খাল থাকার কারণে পর্যটকদের প্রচুরভীড়ে সঠিক কোন জায়গা পার্কিংয়ের জন্য দেওয়ার সুযোগ ছিলনা। যার কারণে শুধু জরুরীভাবে সৈকতের প্রবেশমুখে পার্কিংটার সুযোগ দিতে হয়েছে।
তবে পরিচ্ছন্নতার জন্য সৈকতে কোন বিশেষ পরিচ্ছন্নতা কর্মী নেই যেটা কক্সবাজার সৈকতে রয়েছে।
ইতোমধ্যে আমরা সব বিষয়গুলো উর্ধ্বতন মহলে জানিয়েছি, আশাকরি দ্রুত সমাধান হবে।