সংবাদদাতা:
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্ক প্রতি মঙ্গলবার সরকারী বন্ধের নিয়ম ভঙ্গ করে সাফারী পার্ক খোলা রেখে বাণিজ্য করার অভিযোগে পার্কের গেইট বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয়রা।
এতে টিকেট কাউন্টার থেকে পার্কে প্রবেশ টিকেট ক্রয় করে পার্কে ঢুকতে না পারায়, দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে দেশের ভিবিন্ন এলাকা থেকে আগত হাজার হাজার দর্শনার্থীদের। কুরবানীর ঈদের ৩য় দিন ৫ সেপ্টেম্বর বিকাল ২টার দিকে ঘটেছে এ ঘটনা।
অভিযোগ উঠেছে দেশের সাফারী পার্কগুলো প্রতি মঙ্গলবার সরকারী বন্ধের দিন হিসেবে নিয়ম রয়েছে। সেই হিসেবে পার্কের কর্মচারীরা ঘটনার দিন মঙ্গলবার সকাল থেকে ছুটি কাটাতে চাইলে সাফারীপার্ক ইজারাদাররা পার্কের কর্মকর্তাদের সাথে আতাঁত করে কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করে সাফারীপার্ক খোলে দিয়ে তাদের কর্মস্থলে যেতে নির্দেশ দেন। এতে কর্মচারীদের অভিযোগ পেয়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা নুর হোছাইন চৌধুরীর ছেলে সজিব কয়েকজনকে সাথে নিয়ে বিকেল ২টার দিকে পার্কের গেইটটি বন্ধ করে দেন। এতে প্রায় ঘন্টা ব্যাপি দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে পার্কে আগত দেশী-বিদেশী হাজার হাজার দর্শনার্থীদের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাফারীপার্কের গেইট ইজারাদার মোঃ নাছির উদ্দিন জানান, স্থানীয় সজিব সহ কয়েকজন মিলে আমাদের সাথে কোন কথা না বলে পার্কের গেইটটি বন্ধ করে দিয়েছিল। পরে আমি তাকে বুঝিয়ে সুজিয়ে গেইটটি খোলে দেয়ায় আর কোন সমস্যা হয় নাই।
জানতে চাইলে পার্কের বিট কর্মকর্তা মাজাহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বছরের ঈদ বা দুর্গা পূঁজা এ ধরণের বিশেষ দিন উপলক্ষে সাফারী পার্ক মঙ্গলবার বন্ধের দিনেও খোলা রাখার নিয়ম রয়েছে। এ ছাড়া আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে ঈদের ৩য় দিন মঙ্গলবার সাফারীপার্ক খোলা রাখা হয়েছে। স্থানীয়রা যে কাজটি করেছেন এটি নিয়মের মধ্যে পড়ে না।
জানতে চাইলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে একই কথা বলেছেন, পার্কের রেঞ্জ কর্মকর্তা মুর্শেদুল আলম চৌধুরী।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।