বিশেষ প্রতিবেদক:
কক্সবাজার শহরের কলাতলী এলাকার বহুল আলোচিত ডিভাইন ইকো রিসোর্টে চাকুরীর আড়ালে শক্তিশালী মাদকের সিন্ডিকেট গড়ে তুলে কর্মচারী শাহিন মোর্শেদ। অন্তত ১ বছর আগে থেকে কর্তৃপক্ষের চোখে ধুলো দিয়ে দেদারছে মাদকের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিল সে। বিভিন্ন সোর্সের দেয়া তথ্যের ভিক্তিতে মোর্শেদকে নজরে রাখে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানায়, মোর্শেদের সিন্ডিকেটে রয়েছে ৫/৬ জন মতো মাদক ব্যবসায়ী। তারা মাঝে মধ্যে পর্যটক বেশে ডিভাইনে গেলেও অধিকাংশ সময় মোবাইলে চলে তাদের মাদক বিকিকিনি। দেশী বিদেশী বিভিন্ন ব্রান্ডের মাদকদ্রব্যের জন্য অনেক মাদকসেবীর কাছে মোর্শেদ পরিচিত।
তবে, মোর্শেদ খুব চালাক ও ধূর্ত প্রকৃতির হওয়ায় বিভিন্ন সময় মদকদ্রব্য বিরোধী অভিযানে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় বলে স্থানীয় বেশ কিছু আবাসিক হোটেল ব্যবসায়ী জানান।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ডিভাইন ইকো রিসোর্টের মালিক মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী শাওনের বক্তব্য জানতে ফোন করলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। পরে তাকে পাওয়া গেলে বক্তব্য যুক্ত করা হবে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর কক্সবাজারের পরিদর্শক ধনঞ্জয় চন্দ্র দেবনাথ বলেন, চাকুরীর আড়ালে বিভিন্ন এলাকায় মাদক সরবরাহ করে আসছিল কর্মচারী মোর্শেদ। তাকে আমরা অন্তত এক বছর ফলোআপে রাখি। অবশেষে ক্রেতা সেজে গিয়ে বুধবার রাত ৯টার দিকে শাহিন মোর্শেদকে হাতেনাতে ৬টি বিয়ারসহ আটক করে ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা প্রিয়াংকা।
একই অভিযানে ডিভাইন ইকো রিসোর্টের সহকারী ব্যবস্থাপক এমডি নাদিম হোসেন হাওলাদার পালিয়ে গেলেও মাদক সেবনের অভিযোগে তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এর আগে অভিযানে ইয়াবা, গাঁজা, মদসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য সেবন ও বিক্রির অভিযোগে শহরের দক্ষিন রুমালিয়ার ছড়ার টেকনাফ পাহাড় এলাকার জালাল আহামদের ছেলে রশিদ আহমদ (২২) ৬ মাস, পেকুয়া ফাঁসিয়াখালী কুতুবপাড়া এলাকার নাছির উদ্দিনের ছেলে শফিউল আলম (২৬) ১ মাস, উখিয়া পুর্ব রত্নাপালং এর মনমোহন বড়ূয়ার ছেলে খোকন বড়ুয়া (৫০) ১ মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত। অভিযানকালে মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।