দৈনিক আলোকিত উখিয়া পত্রিকায় গত ২৩ আগষ্ট ‘ম্যাজিস্ট্রেটের সই জাল করে সমুদ্র সৈকতে হাফেজের ব্যাপক চাঁদাবাজী’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিঘোচর হয়েছে। ওই সংবাদে ছাপানো হয়েছে, আমি নাকি সমুদ্র সৈকতের ফটোগ্রাফারদের অনুমোদনের কার্ড প্রদানের নামে ম্যাজিস্ট্রেটের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছি। এছাড়া আমি নাকি মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত।

এই তথ্যগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্যমূলক ও ভিত্তিহীন। যারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই সংবাদটি ছাপিয়েছেন তাদের কাছে আমার একটা প্রশ্ন সেটা হচ্ছে, দেশে কি আইন বা প্রশাসন নাই। যারা প্রতিনিয়ত এই ফটোগ্রাফারদের এই কার্ডগুলো চেক করছে। নবায়ন করা আছে কি না তা খতিয়ে দেখার দায়িত্বে রয়েছে। তারা কি অন্ধ হয়ে গিয়েছে? এছাড়া এই ফটোগ্রাফারদের সংগঠনের সভাপতি-সেক্রেটারি কী নাই হয়ে গিয়েছে? আমার মত একজন সাধারণ ফটোগ্রাফি ব্যবসায়ী তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে এতবড় অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছি। আর তারা নীরবে বসে রয়েছে। এটা কখনও সম্ভব না।

যারা এই মিথ্যা সংবাদ ছাপিয়েছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, চাহিদা পূরণ না হওয়ায় সমাজে মানক্ষুন্ন করতে এবং প্রশাসনের কাছে ছোট করতে এই ধরনের মিথ্যা সংবাদ ছাপানোর কোন প্রয়োজন ছিলনা। এছাড়া আমি মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত নই। যদি কেউ প্রমান করতে পারে তাহলে যা শাস্তি দেওয়া হবে তাই মেনে নেব।

এছাড়া এই সংবাদে স্টুডিও মালিক সমিতির সভাপতির নাম এসেছে। আমি নাকি এসব অপকর্ম করে তার মান ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছি। আমার জানা মতে স্টুডিও মালিক সমিতির সভাপতি একজন সৎ, যোগ্য ও প্রভাবশালী ব্যক্তি। যিনি এসব অপকর্ম এক মুহুত্বে জন্য সহ্য করবেননা। সুতরাং এসব মিথ্যা তথ্য ছাপিয়ে ওনার সাথে আমার সু-সর্ম্পক নষ্ট করার প্রয়োজন নেই।

মূল ঘটনা হল, গত ২০১৬ সালে কার্ড নবায়ন হয়েছে স্টুডিও মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি কাঞ্চন আইচের মাধ্যমে। আর ২০১৭ সালে যার যার কার্ড সে সে উপিস্থিত হয়ে ম্যাজিষ্ট্রেটের সম্মুখে কার্ড নবায়ন করা হয়েছে। তবে ওই সময় কয়েকটি কার্ড জালিয়াতি হওয়ায় ওসব কার্ড জব্দ করে জরিমানা করেছিল ম্যাজিষ্ট্রেট। আমি’ই ম্যাজিষ্ট্রেট মুরাদের নির্দেশে কয়েকজনের কাছ থেকে কার্ড উদ্ধার করে দিয়েছিলাম। আর এই বিষয়টিকে উল্টো এবং মিথ্যা সাজিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ ছাপানো হয়েছে। আমি এই মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। পাশাপাশি পাঠকদের অনুরোধ করছে এই ধরনের মিথ্যা সংবাদ পড়ে বিভ্রান্ত হবেননা।

প্রতিবাদকারী

মোঃ হাফেজুল আলম চৌধুরী

সাবেক সাধারন সম্পাদক, লাবনী-স্টুডিও মালিক কল্যান সমবায় সমিতি লিমিটেড, সমুদ্র সৈকত, কক্সবাজার।