মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া:
আসন্ন কুরবানীকে সামনে রেখে অসাধু ব্যাবসায়ীদের ভেজাল মসলা সামগ্রীর ধুম পড়েছে। মজুদ করে রাখছে হলুদ, মরিচসহ অন্যান্য মসলাদি। দীর্ঘদিন ভেজাল বিরুধী অভিযান না থাকায় চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা বাজারে অবাধে বিক্রি করছে নিত্য প্রয়োজনীয় এসব মসলা দ্রব্য। অভিযোগ রয়েছে এসব ব্যবসায়ীরা দুসর রঙ্গের ভেজাল হলুদ, মরিচে ক্ষতিকর কৃত্রিম রং মিশিয়ে অবাধে বিক্রি করছে খোলা বাজারে।

২০ আগস্ট সন্ধ্যায় বাজারের বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী বাদল কান্তি দে মালিকানাধীন এক মনের অধিক পরিমান ভেজাল গুড়া মরিচ জব্দ করেন বাজার ব্যবসায়ী সমিতি। ডুলাহাজারা বাজারে অবস্থিত খায়রুল বশর চেয়ারম্যানের রাইস মিল থেকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রক্ষিত বাদল ষ্টোরের ভেজাল মরিচগুলো জব্দ করেন।

ডুলাহাজারা বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জমির উদ্দিন জানান, বশর চেয়ারম্যান মালিকানাধীন রাইচ মিলে পঁচা মরিচ চুর্ণ করছে এমন খবর পেয়ে ইউপি সদস্যসহ আমাদের সদস্যরা সরেজমিনে যাই। এতে দেখাই পঁচা ও সাদা রঙ্গের কয়েক বস্তা মরিচ থেকে কিছু অংশ চুর্ণ মরিচ বালি মিশ্রিত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রক্ষিত আছে। তাৎক্ষণিক সকলের উপস্থিতিতে মরিচগুলো জব্দ করে বাজার সমিতির অফিসে নিয়ে আসা হয়।’ বিষয়টির ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে জানায় ওই মরিচের মালিক বাদল সওদাগর।

স্থানীয়রা জানায় ইতিপূর্বেও হলুদের গুড়ায় ভেজাল করতে গিয়ে জনসম্মুখে ধরা পড়ে এ ব্যবসায়ী এবং ওই সময়ও ব্যাপারটি নিয়ে পুরো এলাকাজুড়ে তোলপাড় চলছিল। তবে এ বারের ঘটনা ধামাচাপা দিতে একটি প্রভাবশালী মহল বাদল সওদাগরের পক্ষ নিয়ে কলকাঠি নাড়ানোর চেষ্টা করলেও ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ শওকত আলীর সঠিক তত্ত্বাবধানে তা সম্ভব হয়নি। পরে চেয়ারম্যান ও বাজার ব্যবসায়ী সদস্যদের নিয়ে বৈঠকের মাধ্যমে অভিযুক্তদের শাস্তি ও মুচলেকার মাধ্যমে সুষ্ঠু সমাধান দেন। এসময় বাজার কমিটির জব্দকৃত ভেজাল মরিচগুলো বাজারের পার্শ্ববর্তী নদীতে নিক্ষেপ করেন।

অপরদিকে স্থানীয়দের অভিযোগে আরো জানা যায় বাজারের খায়রুল বশরের রাইচ মিল সহ কয়েকটি মিলে লোকচক্ষুর অন্তরালে গভীর রাতে এসব দুর্নীতিমূলক কর্মকান্ড চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।

এ বিষয়ে ডুলাহাজারা ইউপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ শওকত আলী বলেন ‘এসব ভেজালের বিরুদ্ধে আমি ইউনিয়নবাসীর সহযোগীতা কামনা করি। অপরাধী যেই হউক সঠিক প্রমাণ পেলে কাউকে ছাড় দেব না। যেকোনো সময় ভেজাল, অনিয়ম, দুর্নীতি সম্পর্কে যথাযথ তথ্য পেলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’