বার্তা পরিবেশক :

টেকনাফ সদর ইউনিয়নের লেংগুরবিল এর আলোচিত ইয়াবা সিন্ডিকেট এর অন্যতম কারবারি মাহমুদ মিয়া প্রকাশ (সিকদার মিয়া) মরিচ্যা চেকপোস্টে ইয়াবাসহ আটক হয়েছে। পরে গণমাধ্যমে এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে টেকনাফ জুড়ে চলে আলোচনা-সমালোচনা। অনেকেই বলছে, মাহমুদ মিয়া তাদের সিন্ডিকেট এর অন্যতম পাচারকারী কিন্তু তাদের মূল ইয়াবা গডফাদাররা ধরাছোয়ার বাইরে রয়ে গেছে। এই এলাকার ইয়াবা ডিলার বা গডফাদার হিসেবে অধিক পরিচিত মাঠ পাড়া এলাকার  হারুন,  কামাল  ও জাহিদ নামে উঠতি যুবক । অনুসন্ধানেও ইয়াবার মূল গডফাদার হিসেবে তাদের নাম উঠে এসেছে। তারাই ঐ এলাকায় ইয়াবার ধারক-বাহক বলে চাউর আছে । তাদের কারণে এলাকার উঠতি অনেক যুবক-ছাত্র ফাঁদে পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে।

এলাকার লোকজন জানান, তাদেরকে আটক করলে এই এলাকা থেকে ইয়াবা ব্যবসা অনেকটা বন্ধ হয়ে যাবে। এলাকার সচেতন ব্যক্তিরা জানান, লেংগুরবিল এলাকাটি সাগরের কুলঘেষা হওয়ায় ফিশিংবোট দিয়ে অহরহ ইয়াবার চালান খালাস সম্পন্ন করে মাহমুদ মিয়া সিন্ডিকেট এর গডফাদাররা। তাদের কাছ থেকে পাইকারী ও খুচরা মূল্যে ইয়াবা নিয়ে কক্সাবাজারসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাচার করে। আবার এদের প্রায় সকলের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য আইন ও হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে বিভিন্ন সংস্থা ও ইয়াবা ছিনতাইকারীদের ঝামেলা এড়াতে তারা চুক্তিভিত্তিক ইয়াবা পাচার করার জন্য বিভিন্ন খেটে খাওয়া মানুষকে নিয়োগ দিয়েছে। চুক্তিতে দরিদ্র লোকজনদের ফাঁদে ফেলে গ্রাহক নিয়োগ করে ধরা পড়লে তাদেরকে আবার জামিনে মুক্ত করার ব্যবস্থাও করে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৬ আগস্ট মরিচ্যা চেকপোস্টে তাদের অন্যতম পাচারকারি মাহমুদ মিয়া প্রকাশ সিকদার মিয়া তল্লাশীর সময় ইয়াবাসহ হাতেনাতে ধরা পড়ে বিজিবির হাতে।

আরো জানা গেছে, গ্রামের বেকার কিশোর যুবক যারা রঙ্গিন স্বপ্নে বিভোর, ইয়াবা গডফাদাররা মূলত ইয়াবা বহনের ফাঁদে তাদের কাজে লাগিয়ে থাকে। একারণে সমাজ আজ কলুষিত হতে চলেছে। উল্লেখ্য গত ১৬ আগস্ট ৩৪ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন-এর মরিচ্যা যৌথ চেকপোষ্টে নিয়মিত তল্লাশীর সময় মরিচ্যা যৌথ চেকপোষ্টে টেকনাফ হতে কক্সবাজারগামী সরাসরি স্পেশাল যাত্রীবাহী বাস তল্লাশী করে ধৃত আসামী মোঃ মাহমুদ মিয়া প্রকাশ সিকদার মিয়া (৩৮), পিতা-মোঃ হাবিবুর রহমান, গ্রাম-দক্ষিণ লেংগুরবিল, পোষ্ট-মিরারছড়া, থানা-উখিয়া, জেলা-কক্সবাজার এর শরীরে অতি কৌশলে লুকায়িত অবস্থায় ৬৬০ পিস ইয়াবা, এক লক্ষ আটানব্বই হাজার টাকা এবং ১টি মোবাইল, মূল্য-১,৫০০ টাকাসহ আটক করতে সক্ষম হয়। জব্দকৃত মালামালের মূল্য ১,৯৯,৫০০ টাকা। জব্দকৃত ইয়াবা ও অন্যান্য মালামালসহ ধৃত আসামীকে রামু থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। এই সিন্ডিকেট এর গডফাদারদের দ্রুত আটক করলে বেড়িয়ে আসবে অনেক অজানা ইয়াবা ব্যবসার খলনায়ক এর কুকীর্তি। টেকনাফ থানার (ওসি) মাইন উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, টেকনাফে ইয়াবা পাচার ও সেবন ভয়াবহ আকার ধারন করছে। তার রেহাই থেকে জাতি ও দেশকে বাঁচাতে হবে। মাহমুুদ মিয়া সিন্ডিকেট এর ব্যাপারে তদন্ত করে দ্রুত আটক করা হবে। তাদেরকে কোন মূল্যেই ছাড় দেয়া হবেনা।