ড্রাগন ফল চাষে অভিভুত ১৫০বনজীবি কৃষক

প্রকাশ: ১১ আগস্ট, ২০১৭ ০৮:১৭

পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে


চকরিয়ায় মাঠ দিবসে জলবায়ু সহিষ্ণু টেকনোলজি পদ্ধতির আধুনিক কৃষি চাষাবাদ প্রত্যক্ষ করেন বনজীবি কৃষক ও কর্মকর্তারা।

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া:
চকরিয়া উপজেলা ক্রেল প্রকল্পের ব্যতিক্রমী উদ্ভাবনী আয়োজন ড্রাগন ফলের চাষ স্বচক্ষে তা অবলোকন করলেন ১৫০ জন বনজীবি কৃষক। নেকম-ক্রেল চকরিয়া প্রকল্পের উদ্যোগে কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে ‘‘উন্নত বীজ ও টেকনোলজি ব্যবহারে সমৃদ্ধ ফসল বয়ে আনা সম্ভব’’- স্লোগানে আয়োজিত জলবায়ু সহিষ্ণু টেকনোলজি পদ্ধতির চাষাবাদ দেখে অভিভুত হয়েছেন বনজীবি কৃষকরা। তাদের ধারণা এ ধরণের চাষাবাদ বনাঞ্চল ও কৃষিখাতের উন্নয়নে বিপ্লবের সুচনা করেছে।

ক্রেল প্রকল্পের এনআরএম ফ্যাসিলিটেটর গাওহার উদ্দিনের সঞ্চালনায় ও মেধাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যান সহ-ব্যব¯’াপনা কমিটির সভাপতি এসএম আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো.কামরুজ্জামান; বিশেষ অতিথি ছিলেন ক্রেল লাইভলিহুড কর্মকর্তা ফরহাদ আল মাহমুদ, সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির ট্রেজারার রাজিয়া সুলতানা, মেদাক”ছপিয়ার বনবিট কর্মকর্তা সৈয়দ আবু জাকারীয়া, কৃষি উপসহকারী জাকির হোসেন ও লিটন চৌধুরী, এনআরএম ফ্যাসিলিটেটর আবু জাফর সেিেলম, সিএমসি সদস্য আক্তার কামাল, সাইদুর ইসলাম, ওসমান গনি, এসিআই বীজ কোম্পানির মোহম¥দ ইদ্রিস, ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শওকত আলী, এলএসপি আমিনুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ক্রেল চকরিয়া সাইটের সাইট অফিসার আব্দুল কাইয়ুম স্বাগত বক্তব্যে প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ক্রেল প্রকল্প হচ্ছে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প যাহা ইউএসএই্ড এর অর্থায়নে এবং উইনরক ইন্টারন্যাশনাল এর কারিগরি সহযোগিতায় পরিচালিত। মাঠ পর্যায়ে সকল কার্যক্রম সম্পাদন করছে ন্যাচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট (নেকম)। বনাঞ্চল ও বন্য প্রাণীসংরক্ষণ, পরিবেশ-প্রতিবেশ উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন ও পরিবেশ বান্ধব টেকসই জীবিকায়ন নিয়ে কাজ করা এবং সংশ্লিষ্ট সহ-ব্যব¯’াপনা কমিটি ও ষ্টেকহোল্ডারদের সাথে সমন্বয় ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করাই এ প্রকল্পের মূললক্ষ্য। তিনি আরও বলেন নেকম-ক্রেল প্রকল্প ৩৫০০ জনকে বিকল্প জীবিকায়নের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আজকের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বন নির্ভরশীল মানুষ জলবায়ু সহিষ্ণু কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করে কিভাবে বন থেকে ফিরে এসেছে তা দেখব।

অনুষ্ঠানে উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়ন পরিষদের নারী সদস্য রাজিয়া সুলতানা ক্রেল প্রকল্পের প্রশংসা করে বলেন, বন রক্ষায় ক্রেল পবিবেশ বান্ধব জীবিকায়ন প্রসংসার দাবী রাখে। তিনি সকলকে বলেন, প্রতি বাড়ি এ ধরনের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সবজি বাগান করা উচিত।

কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের মেধাকচ্ছপিয়া বনবিট কর্মকর্তা সৈয়দ আবু জাকারীয়া বলেন, গাছের নিচে ছায়াযুক্ত ও পরিত্যাক্ত জায়গায় হলুদ, আদা, আনারস ইত্যাদি ফসল উৎপাদনের পরামর্শ দেন । তিনি ক্রেলকে এধরনের বন সংরকক্ষণমূলক জীবিকায়নের জন্য ধন্যবাদ দেন। অনুষ্ঠানে স্থানীয় সফল কৃষক তসলিমা আক্তার ও আবুল কাসেম তাদের সফলতা কথা তুলে ধরেন। তারা বলেন, ক্রেল প্রকল্প থেকে প্রশিক্ষণ পেয়ে এখন চাষ কওে দ্বিগুন ফসল পা”িছ এবং াামরা বন থেকে ফিরে আসছি।

নেকম-ক্রেল প্রকল্পের কর্মকর্তা ফরহাদ আল মাহমুদ জলবায়ু সহিষ্ণু আধুনিক কৃষি, ড্রাগন ফল চাষাবাদের উপর বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি প্রযুক্তিগতভাবে জমি প্রস্তুত, বীজ বপন, পরিমিত সার প্রধান, মালচিং ও সেচ প্রদ্ধতির উপর উপস্থিত কৃষকদের মাঝে সচিত্র বর্ননা দেন।

চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.কামরুজ্জামান সারা বছর সবজি চাষ, অল্প ও পরিত্যাক্ত জমির সটিক ব্যবহার, বীজ র্সরক্ষণ প্রদ্ধতি, কম্পোস্ট সার তৈরি, জৈব সারের গুনাগুন ও সেক্স ফেরোমন নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বর্তমান সময়ে জলবায়ু পরিবর্তনকালে ক্রেলের জলবায়ু সহিষ্ণু আধুনিক কৃষি প্রদর্শনীর নেকম-ক্রেল প্রকল্পের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এধরনের উদ্যোগে বনজীবি কৃষক বন সুরক্ষায় যথেষ্ঠ অবদান রাখবে।

পরবর্তীতে অনুষ্ঠান¯’লের পার্শ্বে ক্রেল প্রকল্পের প্রদশিত আবুল কাসেমের জলবায়ু সহিষ্ণু আধুনিক কৃষি ও ড্রাগন ফল প্রদর্শনী বাগান সকলে পরিদর্শন করেন এবং চাষ প্রদ্ধতিতে লাভবান হওয়ার বিস্তারিত বর্ণনা শোনেন।