এ.এম হোবাইব সজীব, মহেশখালী:
বিভিন্ন সময় সমালোচনার র্শীষে থাকা শীঘ্রই মহেশখালী উপজেলা যুবদলের সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা নেতাকর্মীদের মধ্যে চাওর হয়েছে। একদিকে সদস্য সংগ্রহ অভিযান কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে চাঙ্গাভাব ফিরে এসেছে বিএনপিতে। অন্যদিকে বিএনপি ও অঙ্গ সংঘঠনের উপজেলা ও ইউনিয়ন কমিটি গঠন নিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছে দীর্ঘদিন ঘুমিয়ে থাকা মহেশখালী উপজেলা বিএনপির কার্যালয়। পুরো দিনই বিএনপি কার্যালয় ঠাসা থাকছে নেতা-কর্মীতে।
অপরদিকে আগামী ১৯ আগষ্ট যুবদলের সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্টিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীনার ভাব লক্ষ্যে করা যাচ্ছে। নেতাকর্মীদের মাঝে একটা প্রশ্ন কে হচ্ছেন সভাপতি-সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক তা নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে কৌতুহলের শেষ নেই। যুবদলের এই সম্মেলন ঘিরে এখন উজ্জীবিত নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে মহেশখালী দীর্ঘদিন ঝিমিয়ে থাকা নেতাকর্মীদের মাঝে ফিরে এসেছে চাঙ্গাভাব। আগামীতে নেতৃত্বে কে আসছেন এ নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা সমালোচনা। কে ছিলেন তৃণমূল নেতাদের পাশে । আর কে ছিলেন না এনিয়েও নেতাকর্মীদের মাঝে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
সরেজমিন বিভিন্ন ইউনিয়নের যুবদলের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মহেশখালী উপজেলা যুবদলের নেতারা কয়েকটি গ্রুফে বিভক্ত হয়ে কমিটির জন্য উপজেলা বিএনপির শীর্ষ স্থানিয় নেতা ও জেলা যুবদলের কমিটির ধারস্ত হচ্ছেন। তবে এ কমিটির শিলংয়ে অবস্থিত বিএনপি’র স্থায়ি কমিটির সদস্য আলহাজ্ব সালাহ আহমদের সুপারিশে হবে এটা অনেকটা নিশ্চিত বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
উপজেলা যুবদলের দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিগত ২০১২ সালে মকছুদুল আলম নিরুকে সভাপতি , মোস্তাফা কামালকে সাধারণ সম্পাদক করে মহেশখালী উপজেলা যুবদলের কমিটি অনুমোদন দেন জেলা যুবদল। উক্ত কমিটির মেয়াদ উর্ত্তীন হওয়ায় অবশেষে সম্মেলনে হতে যাচ্ছে মহেশখালী যুবদলের।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে এ কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক হতে ডজনখানিক প্রার্থী লবিং চালাচ্ছেন। সভাপতি পদে ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তারা হলেন, মহেশখালী উপজেলা যুবদলের সিনিয়র-সহসভাপতি মোঃ হোছাইন মাসুম,সহ-সভাপতি আনোয়ার পাশা চৌধুরী, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক মোঃ আলী, উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাষ্টার কবির আহমদ, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এড: নছরুল্লাহ’র নামও শোনা যাচ্ছে। এদিকে বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফা কামাল সভাপতি প্রার্থী হচ্ছে বলে তৃর্ণমূল যুবদলের নেতাকর্মীদের কাছে আওয়াজ উঠেছে। অনেকে তিনি বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় সভাপতি পদে দেখতে চাই বলে প্রচারণাও চালাচ্ছেন । তবে মোস্তাফা কামাল সভাপতি পদে প্রার্থী হচ্ছে কিনা এখনো খোলাসা করেনি।
সাধারণ সম্পাদক পদে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তারা হলেন, জেলা যুবদলের সদস্য ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক ছাবের হোছাইন, জেলা যুবদলের সদস্য সাবেক ছাত্রনেতা শফিউল আলম শফি, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল করিম জয়, উপজেলা যুবদলের শিল্প বিষয়ক সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, এদিকে উত্তর মহেশখালী থেকে সম্পাদক পদে কোন প্রার্থী না থাকায় তৃর্ণমূল নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ রেখে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে সেলিম মাহমুদ বলে জানিয়েছেন উপজেলা যুবদলের সমবায় বিষয়ক সম্পাদক সরওয়ার কামাল। তবে সম্পাদক পদে ৪ জনই হেভিওয়েট প্রার্থী হওয়ায় তারা জনপ্রিয়তা ধরে রেখে তৃর্ণমুলের নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন জয়ের লক্ষে।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তারা হলেন, জেলা যুবদলের সদস্য কারানির্যাথিত যুবনেতা আমান উল্লাহ আমান, উপজেলা ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা যুবদলের সহ-প্রচার সম্পাদক নুরুল আবছারসহ আরো কয়েকজনের নাম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করছে তাদের সমর্থকরা।
সম্মেলনকে ঘিরে তৃর্ণমূল নেতাকর্মীদের কাছে জানতে চাইলে শাপলাপুর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাষ্টার ছালামত উল্লাহ, কালারমারছড়া যুবদল নেতা আহমদ উল্লাহ ভূট্টেুা, ধলঘাট ইউনিয়ন যুবদলের নেতা সাহাব উদ্দিন ও উপজেলা যুবদলের সদস্য আব্দুল খালেক এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমরা সভাপতি হিসাবে হোছাইন মাসুমকে দেখতে চাই, কারণ তিনি দুঃ সময়ে দলের নেতাকর্মীদের পাশে ছিল। জানতে চাইলে সভাপতি প্রার্থী মোঃ হোছাইন মাসুম বলেন, উপজেলা বিএনপি ও জেলা যুবদলের নীতিনিধারকরা আমাকে দায়িত্ব দিলে মহেশখালীর মাটি যুবদলের ঘাঁটি হিসাবে রুপান্তরিত করার সর্বোচ্ছ চেষ্টা থাকবে।
সভাপতি প্রার্থী হিসাবে উপজেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আনোয়ার পাশা চৌধুরী ও যুগ্ম সম্পাদক মোঃ আলী কর্মী সমর্থকদের জনপ্রিয়তা ধরে রেখে জয়ের লক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।
সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীরা অনেকটা সরগরম। একেক জনের সমর্থকেরা একেকভাবে পোষ্ট করে যাচ্ছেন তাদের অনুগত নেতাদের পক্ষে প্রচারণায়। আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে যুবদলের হাল ধরতে তাদের ত্যাগ এর কথা তুলে ধরা হচ্ছে। জেল জুলুমের কথা বলা হচ্ছে বিভিন্ন মাধ্যমে । তবে যেই যাই বলুক যারা দলের দুঃ সময়ে হাল ধরেছে তাদেরকে নেতা নির্বাচিত করবেন জেলা যুবদলের নেতারা।
তবে স্পর্ট গ্রুপিংও রয়েছে পদের জন্য। বিভিন্ন সময় এক অপরের প্রতি কাঁদাছুটাছুটি প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে। স্থান পেয়েছে দেশের বিভিন্ন সংবাদ পত্রে।
ইউনিয়ন পর্যায়ে অনেক নেতা যুবদলের কমিটি গঠন নিয়ে বলেন, ত্যাগি নেতাদের মূল্যায়ন করবেন জেলা যুবদল। যারা অতীতে জেল জুলুমের ভয় না করে মহেশখালী মাঠ দখলে রেখেছিল। তাদের আশা নতুন নেতৃত্বে আসবে যুবদলে। গতি ফিরে পাবে মহেশখালী উপজেলা যুবদল।
জেলা যুবদলের সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা ছৈয়দ আহমদ উজ্জ¦ল সাংবাদিকদের বলেন, মাঠ পর্যায়ে জরিপ চালিয়ে কর্মীবান্ধব নেতাদের সভাপতি, সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করে মহেশখালী উপজেলা যুবদলের একটি সময় উপযোগি ও গুরুত্বপূর্ণ কমিটি দেওয়ার লক্ষ রয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।