এফএম সুমন, পেকুয়া:

বিদ্যুৎষ্পৃষ্ট হয়ে আহত অপু নামের স্কুল ছাত্রকে কোলে নিয়ে পেকুয়া চৌমহুনীস্থ ফুলকলি ভবনের ৩ তলার  ছাদ থেকে সিড়ি বেয়ে নামছেন সাংবাদিক মো: ফারুকসহ আরো দু’স্কুল ছাত্র। আশেপাশের লোকজন ছেয়ে আছেন তাদের পানে। ওই তিনজন আহত স্কুল ছাত্রকে সিএনজি গাড়ি যোগে দ্রুত পেকুয়া সরকারী হাসপাতালে নিয়ে গেলেন। ডাক্তার রোগী পরীক্ষা করছেন আর সাংবাদিক ফারুক ছোটাছুটি করছেন আহত স্কুল অপুর পরিবারে খবর দেওয়ার জন্য। চেষ্টার এক পর্যায়ে পরিবারে খবরও দিলেন। এ দিকে ডাক্তার বারবার তাগাদা দিচ্ছেন তাকে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এরই মাঝে তিনি পরিবারের সদস্যদের দেখা না পেলেও তাকে চমেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য এ্যাম্বুলেন্সও প্রস্তুত করেন। ওই সময় স্কুল ছাত্রকে আবারো ধরাধরি করে এ্যাম্বুলেন্সে তোলার সময় দেখা গেছে তার দু’চোখে পানি। যেন আরেক শের আলী। যার মানবতার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হলে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। পেয়েছিল পুলিশের সর্বোচ্চ পদক।
ঠিক এ রকম দৃশ্য ধরা পড়ে সাংবাদিক ইমরান হোসাইনের ক্যামরায়। আহত শিক্ষার্থীকে নিয়ে কান্নারত সাংবাদিক ফারুকের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্ট করার সাথে সাথে ভাইরাল হয়ে পড়ে। মন্তব্যে করে অনেকে। সাংবাদিক ফারুককে পেকুয়ার শের আলী হিসাবে আখ্যায়িত করে তার মঙ্গল কামনা করেন এবং আহত শিক্ষার্থী’র দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন সবাই।
জানা গেছে, পেকুয়া সদর ইউনিয়নের মছিন্যাকাটা এলাকার মহিউদ্দিনের পুত্র মো: অপু জিএমসি’র নবম শ্রেনীর ছাত্র। অসাবধানতা বসত ওই ভবনের ছাদে গেলে বিদ্যুতায়িত পল্লী বিদ্যুতের ১১ হাজার ভোল্টের খুটি। এমনকি এলামেলো তারের কারণে ওই তারে এমনিতেই দূর্ঘটনার সম্ভাবনা ছিল। সর্বশেষ স্কুল ছাত্র অপু দুর্ঘটনার স্বীকার হলে তার কোন ধরণের আত্বীয় না হলেও সাংবাদিক ফারুক ওই ভবনের ছাদে ওঠে তাকে উদ্ধার করে মানবতার পরিচয় দেন। স্কুল ছাত্রের জীবন বাঁচাতে সহযোগিতা করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তিতুমীর নামের একজন লিখেন, বিগত কয়েক বছর আগে তিনি একটি ঘটনায় মুত্যুর মুখে পদিত হচ্ছিলেন। ওই সময় সাংবাদিক ফারুকের পরামর্শ ও আইনী সহায়তায় তিনি রক্ষা পান। এছাড়াও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজুসহ আরো অনেকে তার মঙ্গল কামনা করে বলেন সাংবাদিক ফারুক আমাদের শের আলী।