বিশেষ প্রতিবেদক:
টেকনাফ থানা হেফাজতে থাকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী জামাল হোসাইনকে ছাড়িয়ে নিতে থানা ঘেরাও করেছে স্ত্রীর নেতৃত্বে স্বজনেরা।
শনিবার দুপুরে জামাল হোসাইনকে থানা থেকে আদালতে নেওয়ার সময় তাঁর স্ত্রী খুরশিদা বেগম লোকজন নিয়ে থানা ভবন ঘেরাও করে। এ সময় স্বামীর মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে থানার ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ থানার প্রধান ফটক বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশ শক্ত হাতে বিষয়টি কন্ট্রোল করেন। এটি দ্রুত প্রচার পেলে টেকনাফসহ পুরো জেলায় হৈ চৈ পড়ে যায়।
টেকনাফ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাঈন উদ্দিন খান জানান, জামাল হোসাইন উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য। তার বিরুদ্ধে থানায় ছয়টি মামলা রয়েছে। এর মধ্য তিনটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে।
শুক্রবার রাতে হ্নীলা বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে নিয়ে চালানো অভিযানে একটি খামার বাড়ি থেকে ১৫ হাজার ইয়াবা, একটি বন্দুক ও চার রাউন্ড তাজা কার্তুজ জব্দ করে বলে দাবি করে পুলিশ।
ওসি আরও বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ৭৬৪ জনের তালিকায় হ্নীলা ইউনিয়নের গড ফাদার হিসেবে তার নাম রয়েছে। শনিবার দুপুরে জামালকে থানা থেকে আদালতে নেয়ার সময় তার স্ত্রী খুরশিদা বেগম লোকজন নিয়ে থানা ভবন ঘেরাও করেন।