সোয়েব সাঈদ, রামু
রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের হাইম্যারঘোনার পাহাড়তলী এলাকায় পাহাড় ধ্বসে নিহত দুই ভাই-বোনের পরিবারের সদস্যদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে অর্থ সহায়তা দেয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাজাহান আলি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং নিহত শিশুদ্বয়ের পরিবারকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা প্রদান করেন। মঙ্গলবার ভোররাত ৩টার দিকে রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে পাহাড় ধ্বসে প্রাণ হারান জিহান (৭) ও সাইমা আকতার (৫) নামে দু’ভাইবোন। এ ঘটনায় তাদের বাবা জিয়াউর রহমান ও মা আনার কলি গুরুতর আহত হন। আহত জিয়াউর রহমান হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও আহত মা আনার কলিকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ইউএনও মো. শাজাহান আলি এ ঘটনায় আহত বাবা-মাকে আরো ২০ হাজার টাকা সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন। এসময় কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক সর্দার শরিফুল ইসলাম, দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইউনুচ ভূট্টো, সাংবাদিক সোয়েব সাঈদ, শিক্ষক সিরাজুল ইসলামসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সহায়তা প্রদানকালে নিহত দুই শিশুর মা আনার কলি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। পরে ইউএনও নিহত শিশুর মরদেহ দেখেন ও পরিবারের সদস্য শান্তনা জানান।
দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইউনুচ ভূট্টো জানান, পাহাড় ধ্বসে জিয়াউর রহমানের বসতঘরসহ একই ইউনিয়নের চান্দের পাড়া এলাকার মৃত নুরুল আলমের ছেলে মো. শাহ ও মৃত শফিকুর রহমানের ছেলে আহমদের বসতঘর মাটি চাপা পড়েছে।
রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাজাহান আলি জানিয়েছেন, রামুর সবকটি ইউনিয়নই বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। পাহাড় ধ্বসে দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নে দু’শিশু মারা গেছে। এদেরকে ৪০ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা দেয়া হয়েছে। আহত বাবা-মাকে আরো ২০ হাজার টাকা দেয়া হবে। প্রশাসন বন্যা কবলিত মানুষের পাশে রয়েছেন। বন্যা ও পাহাড় ধ্বস মোকাবেলায় লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।