মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া:
চকরিয়ার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক সড়কে অবৈধ বালুর স্তুপে যান ও জন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। কলেজ গেইট সংলগ্ন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক থেকে সোজা পূর্ব দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক সড়ক। একটি প্রভাবশালী চক্র মহাসড়ক থেকে কিছু ভেতরে ফুটবল খেলারমাঠ সংলগ্ন সড়কের উপর লবণাক্ত বালু স্তুপ করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘ সময় ধরে। এতে সড়ক দিয়ে পার্কে আগত দর্শনার্থী সহ শতশত শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের চলাচল চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। লবণের অম্লাক্ততায় নষ্ট হচ্ছে ডুলাহাজারা কলেজে লাগানো চারা গাছ এবং দূষণ হচ্ছে পরিবেশ। এছাড়া মহাসড়ক থেকে বালুর বড় ডাম্পার প্রতিক্ষণ আসা যাওয়া করায় সড়কটির অনেকাংশ ভেঙ্গে ক্ষতবিক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি এই বর্ষাকালীন বৃষ্টিতে সড়কটি দিয়ে সাধারণ মানুষের পায়ে হেঁটে চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বালু উঠানামা করতে কয়েকটি বড় ডাম্পার কলেজ গেইড়ে অবস্থান করায় আসা-যাওয়া করতে মুশকিলে পড়তে হচ্ছে ডুলাহাজারা কলেজের শিক্ষার্থীদের। এই বালুর কারনে উল্লেখিত স্থানে সড়ক দুর্ঘটনা যেন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা।
এলাকাবাসী জানান ডুলাহাজারা ইউনিয়নের কাটাখালী লবণাক্ত খাল থেকে উত্তোলন হচ্ছে প্রতিদিন কয়েকশত ডাম্পার বালু। স্থানীয় বালুরচর এলাকার মোঃ তজু মিয়ার পুত্র মোঃ ইউনুছের নেতৃত্বে একটি চক্র ট্রাক যোগে লবণাক্ত বালুগুলো প্রথমে উল্লেখিত সাফারি পার্কের সড়কে জমা করে। পরে তা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ করা হয়। অনুমোদন বিহীন কাটাখালী খাল থেকে উত্তোলন করা বালুর ডাম্পার চলাচলে চরম ভাবে নষ্ট হচ্ছে শান্তিরঘাট-ডাকবাংলা সড়ক। গ্রামের অভ্যন্তরীণ সড়কটি রক্ষা করতে প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেন ওই এলাকার জনসাধারণ।

এদিকে ডুলাহাজারা কলেজের অধ্যক্ষ আলহাজ্ব ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী জানান ‘কলেজ গেইট ও কলেজের দক্ষিণ পার্শ্বে এই বালুর স্তুপে কয়েকটি দুর্ঘটনা সংঘটিত সহ চরমভাবে বিনষ্ট কচ্ছে কলেজের পরিবেশ। কলেজ সীমানা ঘেঁষে লবণাক্ত বালু রাখায় ছায়াযুক্ত চারাগাছ গুলো ঠিকমত বাড়তে সমস্যা হচ্ছে। কলেজ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তাদের নিষেধ করেও কর্ণপাত না করায় চকরিয়ার ইউএনও মহোদয়কে অবগত করা হয়েছিল। তিনি জরুরি ভাবে অভিযান পরিচালনা করায় কিছুদিন বন্ধ থাকেলেও সম্প্রতি আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে পড়ছে।

‘ বালু চক্রের প্রধান ইউনুছ বলেন ‘সবদিক ম্যানেজ করে নগদ টাকা দিয়ে আমরা এ ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছি। এখানে বাধা দেওয়ার অধিকার কারো নাই।’ তবে গোপনীয় সুত্রে জানাগেছে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের এক দুষ্কৃতি বিট কর্মকর্তা মাজাহারুল ইসলামকে মোটা অংকে ম্যানেজ করে প্রচলিত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে এই বালু চক্র।

এব্যাপারে ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম জানান ‘সড়ক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বালুর ব্যবসা পরিচালনা করার কোন অনুমতি কাউকে দেওয়া হয়নি। তবে ওখানে বালুর ব্যবসা পরিচালনার ব্যপারে উপজেলা প্রশাসনের অনুমোদন আছে কিনা আমি জানি না।’

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাহেদুল ইসলাম বলেন চলাচল সড়কে বালু রাখার জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে কোন অনুমোদন দেওয়া নাই। বিষয়টি অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।