বিশেষ প্রতিনিধি, টেকনাফ:

টেকনাফ সীমান্তের সাবরাং আলুগোল্লা এক ব্যক্তির নামানুসারে নামকরণ করা হয়েছে “আলুগোল্লা” প্রজেক্ট। এটি এখন বহুল আলোচিত একটি নাম। অনেকেই এর নাম দিয়েছে “ইয়াবা খেকো আলুগোল্লা প্রজেক্ট। বিজিবির সিজার তালিকায় প্রায় আলুগোল্লা প্রজেক্ট নাম পাওয়া যায়। এ আলোগোল্লা চিংড়ি প্রজেক্টটি দীর্ঘতম। বিশাল নাফ-নদীর উপকূলীয় সরকারী খাস জায়গা ঐ ব্যক্তির দখলে থাকলেও তেমন চিংড়ি চাষ হয় না। এটি এখন ব্যবহৃত হচ্ছে, একমাত্র ইয়াবা ঢুকার জন্যে। কেওড়া বাগান ঘেরা আলোচিত আলুগোল্লা চিংড়ি প্রজেক্ট। সীমান্ত রক্ষী বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে অনেক সময় ইয়াবার চালান আলুগোল্লাহ চিংড়ী প্রজেক্ট দিয়ে চলে আসে। কর্তব্যরত বিজিবি মধ্যে মধ্যে লোক দেখানো ইয়াবার চালান জব্দ করলেও বাকি সময়ে ইয়াবার বড়ধরনের চালান অবাধে চলে আসে তথ্য মতে এক ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে একটি ইয়াবা সিন্ডিকেট মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চালান নিরাপদে ঢুকার জন্যে আলুগোল্লা চিংড়ি প্রজেক্টকে ব্যবহার করে আসছে। বিজিবি শেষ বারের মত ১১ জুলাই আলুগোল্লাহ চিংড়ি প্রজেক্ট থেকে প্রায় ২ লাখ ইয়াবাসহ মিয়ানমার ১ মিয়ানমার নাগরিককে আটক করে। এ ছাড়া বিজিবি অতীতে প্রায় সময় ইয়াবার চালান জব্দ করে আসছে আলোগোল্লাহ চিংড়ি প্রজেক্ট থেকে। বিজিবির প্রদত্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তি ও সিজার তালিকার তথ্য মতে এ তথ্য জানা যায়।
টেকনাফ সীমান্তের উখিয়া পাংলখালী থেকে শাহপরীরদ্বীপস্থ বদর মোকাম পর্যন্ত ৫৩ কিঃ মিঃ মধ্যে যে ক’টি আলোচিত চোরাইপয়েন্ট রয়েছে তার মধ্যে আলুগোল্লা অন্যতম। এছাড়া অন্যান্য চোরাই পয়েন্ট গুলো হচ্ছে শাহপরীরদ্বীপ গোলার পাড়া, সাবরাং, নয়াপাড়া ৪নং স্লুসগেইট, কেরুনতলী, হ্নীলা, ওয়াব্রাং, হোয়াইক্যং উনচিপ্রাং ও উলুবনিয়া। এসব চোরাইঘাট নিয়ন্ত্রন করছেন, ইয়াবা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ও রাজনৈতিকদলের কথিত নেতৃস্থানীয় লোকেরা। যদিও এসব সীমান্ত চোরাইপয়েন্টে সীমান্ত রক্ষী টহল থাকলেও তাদের দায়িত্ব পালন এখন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে, গোটা সীমান্ত এলাকায়। সম্প্রতি পুলিশের ইয়াবা বিরোধী অভিযান এবং তালিকাভূক্ত শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আটক কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়ার কারণে এটিকে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা সুযোগের সৎব্যবহার করে এবং মিয়ানমার থেকে বস্তা বস্তা ইয়াবা ও স্বর্ণ ঢুকাচ্ছে। অতি সম্প্রতি বিজিবির অভিযানে লাখ লাখ ইয়াবা জব্দ ও আটক হলেও মূল হোতারা থেকে যাচ্ছে নিরাপদে। ফলে ইয়াবা ব্যবসা ও পাচার বহাল রয়েছে। মিয়ানমার থেকে নৌ-পথে ইয়াবা ও স্বর্ণের চালান নিরাপদে স্থলে চলে আসার পর হতদরিদ্র পরিবারের বাড়ীতে মওজুদ করা হয় এবং পরে অবস্থা ভেদে কৌশলে পাচার করে দেয়।
সূত্র মতে বেশীরভাগ ইয়াবা ও স্বর্ণের চালান- লবণ, পান, কাট, সিলিন্ডার, পশু, ট্রাকসহ ঔষুধ কোম্পানীর গাড়ীর আড়ালে পাচার হয়ে যায়। উল্লেখ্য ইয়াবা অভিযানে ডিবি পুলিশ ইয়াবা পাচারকারীদের সাথে বারং বার হামলা ও আক্রান্ত হওয়ার প্রেক্ষিতে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা আরো বেপরওয়া হয়ে উঠেছে।