হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ :
টেকনাফে ডিবি পুলিশেরে উপর হামলা ঘটনায় শতাধিক ব্যক্তিকে আসামী করে পৃথক ২ মামলা রুজু করা হয়েছে। এসব মামলায় অভিযান চালিয়ে ৩জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হচ্ছে কবির আহমদের ছেলে নুরুল আবসার (৩২), ফজল কবিরের ছেলে শামসুল আলম (৩০), ও সাবরাংয়ে বসবাসকারী পৌরসভার জব্বর মিয়ার ছেলে দিদার আলম (২৮)। আটক ৩ জনই সাবরাং সিকদার পাড়া এলাকার। পুলিশ বৃহস্পতিবার ১৩ জুলাই ভোরে সাবরাং এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে আটক করেন।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাইন উদ্দিন খান জানান, ইয়াবা উদ্ধার ও সরকারী কাজে বাঁধা দানের অভিযোগে ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক কামাল হোসেন বাদী হয়ে রাতে দুটি মামলা দায়ের করেছেন। সিকদারপাড়া এলাকার মৃত জহির আহমদের স্ত্রী রেহেনা বেগমকে প্রধান আসামী করে মাদক মামলায় (মামলা নং-৩৬) দুই জন ও সরকারী কাজে বাঁধা দানের (মামলা নং-৩৭) ঘটনায় ২০ জন জ্ঞাত ও ৮০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা দুটি রুজু করা হয়েছে। সাবরাং ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসেন জানান, এ ধরনের ঘটনা অনাকাংখিত এবং যারাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা উচিত হয়নি।
উল্লেখ্য, ১২ জুলাই বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কক্সবাজার ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক কামাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি টীম সাবরাং সিকদার পাড়া এলাকায় মৃত জহির আহমদের বাড়িতে ইয়াবা মজুদের গোপন সংবাদে অভিযান চালান। তখন বাড়িতে জহিরের স্ত্রী রেহেনা বেগম (৪০) ও তার মেয়ে উপস্থিত ছিল। ডিবি টীম বাড়িতে তল্লাশী চালিয়ে ৫ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করে গৃহকর্ত্রী রেহেনাকে আটক করে ফিরে আসার পথে ইয়াবা ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীরা মিলে ডিবি পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে রেহেনাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে তারা ইট পাটকেল ছুড়ে চারিদিক থেকে ডিবি সদস্যদের অবরুদ্ধ করে রাখে।
খবর পেয়ে প্রথমে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসেন ও মেম্বার শামসুল আলম ঘটনাস্থলে পৌঁেছ ডিবি সদস্যদের রক্ষা করেন। পরে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাইন উদ্দিন খান থানা পুলিশের টীম নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ডিবি সদস্যদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। চলতি বছরের ২০ মে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাজির পাড়া এলাকায় ইয়াবা উদ্ধার অভিযানে গিয়ে একই ভাবে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল কক্সবাজার ডিবি পুলিশের অপর একটি টীম। ##