প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
২০০০ সালের ১২ জুলাই চট্টগ্রামে শিবির কর্তৃক ছাত্রলীগের উপর নৃশংসতা ও চাঞ্চল্যকর “এইট মার্ডার” দিবসে নিহত ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের স্মরণে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কক্সবাজার জেলা শাখা। ১২ জুলাই (বুধবার) সন্ধ্যায় কক্সবাজার লালদিঘীরপাড়স্থ দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নুরুল আজিম কনক। সংগঠনের সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ জয়ের সভাপতিত্বে, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ হোসাইন তানিমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক ডালিম বড়–য়া, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের গ্রস্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মীর্জা ওবাইদ রুমেল, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি যথাক্রমে ইসমাঈল সাজ্জাদ, জালাল উদ্দিন মিঠু, রউফ উর নেওয়াজ ভূট্টো, সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা সাখাওয়াত মিল্টন, যুগ্ন সম্পাদক সেলিম সরওয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হোসেন শাকিল, দপ্তর সম্পাদক শাহ নিয়াজ, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোবারেক হোসেন বারেক, পৌর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাসান ইকবাল রিপন, পেকুয়া উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি কফিল উদ্দিন বাহাদুর, মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোস্তফা ইমন, কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সভাপতি মঈন উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিফ কবির।
এই সময় বক্তারা বলেন, সুদীর্ঘকালের সমাজ সভ্যতার ক্রম বিকাশে বাঙ্গালীর জাতীসত্বার বিকাশের হিরন্ময় ধারা প্রবাহের মহা সমুদ্রের নাম ছাত্রলীগ। মহান ভাষা ও স্বাধীনতার আতœপরিচয়ে দেশ ও জাতীকে গৌরবে ¯œাত করার পাশাপাশি বাঙ্গালীর সকল লড়াই-সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী ছাত্রলীগের কোটি নেতাকর্মী প্রাণ দিয়ে প্রতিষ্টিত করেছেন ছাত্র-যুব ও গণমানুষের ভাতের অধিকার। এধারা অব্যাহত রেখে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী নির্বাচনে সোনালী বিজয় অর্জন করতে হবে।
সভায় দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মোঃ আবু তৈয়ব।
শহর ছাত্রলীগ নেতা জামাল উদ্দিন তাহেরের পবিত্র কোরআন তেলোয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি যথাক্রমে কামরুল হাসান সোহাগ, মিজানুর রহমান হিমেল, যুগ্ন সম্পাদক ইব্রাহিম আজাদ বাবু, মারুফ ইবনে হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান, জেলা ছাত্রলীগ নেতা আলিফুজ্জামান শুভ, দিদারুল ইসলাম রুবেল, জমির উদ্দিন, শাখাওয়াত হোসেন, মেহেদী হাসান মুন্না, আলি আরফান খান, ইমতিয়াজ আহমেদ, তৌহিদুল ইসলাম, মাহমুদ বিন আঃ রহমান, মিফতাহুল করিম বাবু, কায়সার করিম টিপু, কফিল উদ্দিন, নুরুল আবছার, হোসাইন মাহমুদ রিফাত, মনজুর মোর্শেদ ছোঠন, জাকির হোসাইনসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, ২০০০ সালের ১২ জুলাই চট্টগ্রামের শেরশাহ পলিটেকনিক এলাকা থেকে মাইক্রোবাসে করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে অংশগ্রহণ করার জন্য বাকলিয়াস্থ সরকারি কমার্শিয়াল ইনস্টিটিউটে যাচ্ছিলেন। গাড়িটি বহদ্দারহাট পুকুরপাড় এলাকায় এলে আরেকটি মাইক্রোবাস তাদের সামনে এসে গতিরোধ করে। গতিরোধ করার মুহূর্তে মধ্যেই ব্রাশফায়ার শুরু করে বর্বর শিবির ক্যাডাররা। এ সময় গাড়ির ভেতরেই লুটিয়ে পড়েন ছাত্রলীগের ছয় নেতা, তাদের মাইক্রোবাসের চালক ও একজন অটোরিকশার চালক। এ ঘটনায় নিহত হন সরকারি কমার্শিয়াল ইনস্টিটিউট (পলিটেকনিক এলাকাস্থ) ছাত্র সংসদের ভিপি হাসিবুর রহমান হেলাল, এজিএস রফিকুল ইসলাম সোহাগ, ইনস্টিটিউটের ছাত্র জাহাঙ্গীর হোসেন, বায়েজিদ বোস্তামী ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, শেরশাহ কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক আবুল কাশেম, জাহিদ হোসেন এরশাদ, মাইক্রোবাস চালক মনু মিয়া এবং অটোরিকশা চালক কাশেম।