এম.এ আজিজ রাসেল :

টেকনাফে জেলা গোয়েন্দা ডিবি পুলিশের উপর ফের হামলার চেষ্টা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এসময় দুর্বত্তরা অভিযানে আটক শীর্ষ মাদক পাচারকারী রেহানা আক্তার (৩৮) কে ছিনিয়ে নেয়। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। এসময় ডিবি পুলিশ সদস্যদের মারধরের চেষ্টা চালায় তারা। বুধবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে সাবরাং ইউনিয়নের সিকদার পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বুধবার রাতে সাবরাং ইউনিয়নের সিকদার পাড়ায় জহির আহমদের বাড়িতে ইয়াবা মজুদ রয়েছে এমন গোপন সংবাদ পেয়ে জেলা গোয়েন্দা ডিবি পুলিশের এসআই কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি টিম ওই এলকায় অভিযান পরিচালনা করে। এসময় সিকদার পাড়ার রাস্তা থেকে জহির আহমদের ছেলে কামাল হোসেন ও রেহানা আক্তারকে পাঁচ হাজার ইয়াবাসহ আটক করে । পরে কামাল হোসেন পালিয়ে যায়। তাদের কাছ থেকে ৫ হাজার ইয়াবা পাওয়া যায়। এতে দুর্বৃত্তরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। একপর্যায়ে তারা ডিবি পুলিশের সদস্যদের কাছ থেকে ওই আসামী রেহেনাকে ছিনিয়ে নেয়।

ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসেন তার লোকজন নিয়ে ডিবি পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে তার কার্যালয়ে নিয়ে আসে। পরে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে ডিবি পুলিশ সদস্যদের থানায় নিয়ে আসে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিকদার পাড়ার রাস্তা থেকে জহির আহমদের ছেলে কামাল হোসেনকে ধরার চেষ্টা চালায় ডিবি পুলিশ। এতে সে পালিয়ে গেলেও শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী রেহেনাকে ৫ হাজার ইয়াবাসহ আটক করা হয়। এসময় সে ডাকাত ডাকাত বলে সুর-চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে ডিবি পুলিশ সদস্যদের ঘিরে রাখে। পরে পরিচয় পেয়ে সাধারণ জনতা সরে গেলেও কামালের স্বজন ও কতিপয় দুর্বৃত্ত ডিবি পুলিশের সদস্যদের মারধরের চেষ্টা চালায়। এতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মাইন উদ্দিন খান বলেন, অভিযানকালে গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যদের উপর হামলার চেষ্টার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে থানা পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়েছে। তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, এসআই কামালের নেতৃত্বে একদল ডিবি পুলিশ অভিযানে যায়। এসময় পাঁচ হাজার ইয়াবাসহ এক আসামিকে আটক করা হয়। আটকের কিছুক্ষণ পর আসামির ইয়াবা সিন্ডিকেটের অন্য সদস্যরা এসে আমাদের দলের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নেয়।

প্রসঙ্গত চলতি বছরের ২০ মে সদর ইউনিয়ের ইউপি সদস্য এনামুল হকের বাড়িতে ঢুকে তাকে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে আসার সময় ডিবি পুলিশের উপর হামলা ও গাড়ি ভাংচুর করে বিক্ষুদ্ধ জনতা। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশ একটি মামলা রুজু করেছিল।