জহির খন্দকার:
রামু উপজেলার ঈদগড়ে শাশুড় পুত্রবধুকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই অমানবিক ঘটনাটি গত ১১ জুলাই রাত ১০ টায় ঈদগড় হাসনাকাটা (কোনারপাড়া) গ্রামে ঘটেছে। নিহত রোজিনা অাকতারের চাচা অাব্দুল মজিদ জানান গত কাল ১১ জুলাই রাত ১০ টায় শাশুড় অাব্দুল রশিদ পুর্বের মত রোজিনাকে অমানবিক ভাবে মারধর করে হত্যা করেছে।
জানা যায়, ঈদগড় চরপাড়া গ্রামের অাব্দুল কাদেরের মেয়ে রোজিনা অাকতারের (১৮) সাথে ঈদগড় হাসনাকাটা (কোনার পাড়া) গ্রামের অাব্দুর রশিদের পুত্র ছৈয়দ অালম প্রকাশ জসিম(২৫) ড্রাইভারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সে সুবাধে রোজিনা অাকতার জসিম ড্রাইভারের হাত ধরে ১ বছর পুর্বে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। পরে স্থানীয় শালিশ বিচারের মাধ্যমে জসিম ড্রাইভারের পরিবার তাদের বিয়ে মেনে নিয়ে পুত্রবধূকে ঘরে তুলে নিতে বাধ্য হয়। জসিম ড্রাইভারের পিতা সামাজিক চাপের মুখে পুত্রবধূকে ঘরে তুলে নিলে ও অান্তরিক ভাবে মেনে নিতে না পারায় এক বছরের মধ্যে ৪/৫ বার কারনে অকারনে পুত্রবধূকে মারধর করেছিল। স্থানীয় সমাজসেবক অাবুল কালাম জানান , শাশুড়ের মারধরের ব্যপারে কয়েকবার শালিশ বিচার করেছি। এই হত্যাকারীর দৃস্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করছি। রোজিনা অাকতারের পিতা অাব্দুল কাদের জানান অামার মেয়ে কে হত্যা করা হয়েছে অামি বিচার চাই। ঈদগড় পুলিশ ক্যাম্পের বিশেষ দায়িত্বরত রামু থানার এ এস অাই মোরশেদ অালমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান , বিষয়টি শুনেছি , অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
জসিম ড্রাইভারের মুটোফোনে কয়েক বার রিং দিয়ে বন্ধ থাকার কারণে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। রোজিনা অাকতারের লাশ এই রিপোর্ট লিখা (সকাল ১০ ট)পযর্ন্ত শাশুড় বাড়ীতে ছিল।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।