শাহেদ মিজান, সিবিএন:
কক্সবাজার পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাবেদ কায়সার নোবেল ও পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সালাহ উদ্দীন সেতু’র জামিন নামঞ্জুরের গুজবে তাদের সমর্থক শত শত নারী পুরুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে। বুধবার দুপুরের কক্সবাজার শহরের আদালত পাড়ায় এসব লোকজন জমায়েত হয়ে এই বিক্ষোভ করেন। আসলে তাদের জামিন নামঞ্জুর করেনি আদালত। ভুল খবর ছড়িয়ে পড়লে এসব লোকজন রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভকারীরা সবাই পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ডের ভোটার বলে জানা গেছে।
সূত্রে জানা গেছে, ১০নং ওয়ার্ডের মোহাজের পাড়ায় সম্প্রতি জেলা প্রশাসন অবৈধ বসতবাড়িসহ নানা স্থাপনা উচ্ছেদ করেন। এসব উচ্ছেদ কাজে বাধার দেয়ার অভিযোগে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাবেদ কায়সার নোবেল ও সালাহ উদ্দীন সেতু’র বিরুদ্ধে মামলা হয়। ওই মামলায় জামিন আবেদন করে বুধবার পৌনে ১২টার দিকে কক্সবাজার সদর আদালতে হাজির জন তারা দু’জন। কিন্তু আদালতের কাজের চাপে তাদের জামিন শুনানীতে প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা সময় ক্ষেপণ হয়।
এদিকে শুনানীতে দেরি হওয়ার কারণে কাউন্সিলর জাবেদ কায়সার নোবেল ও সালাহ উদ্দীন সেতুকে ওই দীর্ঘ সময় পর্যন্ত আদালতের কাঠগড়ায় রাখা হয়। এই খবর বিভিন্নভাবে ছড়িয়ে যায় বাইরে। তাদের ‘জামিন না মঞ্জুর করে তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণ’র নির্দেশ দিয়েছে বলে খবর ছড়িয়ে যায়। এই খবর শুনে তাৎক্ষণিক ১০ নং ওয়ার্ডের পাঁচ শতাধিক নারী-পুরুষ কক্সবাজার আদালত পাড়ায় জমায়েত হয়ে যায়। তারা পাবলিক হল ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের চত্বরে অবস্থান করে নানা ধরণের শ্লোগান দিতে থাকে। তবে বেলা সোয়া ১টার দিকে নোবেল ও সেতুর জামিন না মঞ্জুর না করার বিষয়টি তারা জানতে পারেন। এই খবর পেয়ে তারা শান্ত হন।
সার্বিক প্রসঙ্গে নোবেল ও সেতু’র এক আইনজীবী আবু ছিদ্দিক ওসমানী জানান, সোয়া ১২টার দিকে নোবেল ও সেতু স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন। তাদের পক্ষে জামিন শুনানীতে অংশ নেন বারের সাবেক সভাপতি ছৈয়দ আলমসহ আরো কয়েকজন আইনজীবী। কিন্তু জামিন ও ধারা সম্পর্কিত জটিলতার কারণে আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সিরাজ উদ্দীন শুনানীর রায় প্রদানে সময় নেন। তিনি এক ঘণ্টা পরে নোবেল ও সেতু’র জামিন মঞ্জুরের রায় দেন। তবে ওই এক ঘণ্টা পর্যন্ত আসামীদের কাঠগড়ায় থাকতে হয়। এই সময়ে মধ্যে জামিন নামঞ্জুরের গুজবটি ছড়িয়ে যায়।
আসামীদের প্রধান আইনজীবি ছৈয়দ আলম বলেন, ‘আমরা নিয়ম মোতাবেক কাউন্সিলর নোবেল ও আওয়ামী লীগ নেতা সেতু’র বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার জামিন আবেদন করি। ওই মামলার ধারাগুলো ছিলো জামিন যোগ্য। আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট বিষয়টি বুঝে জামিন দিয়েছেন। তবে কিছু কাগুজে জটিলতার কারণে একটু সময় ক্ষেপণ হয়েছে।’