সংবাদদাতা
উখিয়ায় আকস্মিক বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও সরকারী ত্রাণ সহায়তা পায়নি দুর্গত লক্ষাধিক মানুষ। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় খোলা আকাশের নিচে চরম দুর্ভোগে ক্ষতিগ্রস্থরা। এদিকে সরকারী ত্রাণ সহায়তা না পেলেও ব্যক্তি উদ্যোগে অনেক জনপ্রতিনিধি ত্রাণ সহায়তা প্রদান করলেও সেটি পর্যাপ্ত নয় বলে দাবী বন্যা কবলিতদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের পাইন্যাশিয়া বড়ুয়া পাড়া, পাইন্যাশিয়া চর পাড়া , পাইন্যাশিয়া কুলাল পাড়া, আনার পাড়া, লম্বরী পাড়া, উত্তর সোনাইছড়ি, সোনার পাড়া ঘাট ঘর, রত্নাপালং ইউনিয়নের পশ্চিম রত্না, সাদৃকাটা, খোন্দকার পাড়া, ভালুকিয়াপালং, গয়ালমারা, চাকবৈঠা, হলদিয়া ইউনিয়নের পাতাবাড়ি, নলবনিয়া , রুমখা বড়ুয়া পাড়া, ক্লাশ পাড়া, কুলাল পাড়া, জনাব আলী পাড়া, মৌলভী পাড়া, বড়বিল, হাতির ঘোনা, রাজাপালং ইউনিয়নের হাজীর পাড়া, মৌলভীপাড়া, মালিভটা, ঘিলাতলী, হরিণ মারা, হারাশিয়া, হিজলিয়া, তুতুরবিল, মধ্যম রাজাপালং, ডিগিলিয়া, বড়ুয়া পাড়া, পাতাবাড়ি, হিন্দুপাড়া, হরিনমারা, দুছড়ি, উত্তর পুকুরিয়া, সিকদারবিল, পালংখালী ইউনিয়েনের রহতের বিল, ধামনখালী, আঞ্জুমানপাড়া, পশ্চিম পালংখালী সহ একাধিক গ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও এখনো সরকারী কোন ত্রাণ বরাদ্দ দেওয়া হয় নি।
এদিকে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে জালিয়াপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরী পাইন্যাশিয়া বড়ুয়া পাড়া, পাইন্যাশিয়া চর পাড়া, পাইন্যাশিয়া কুলাল পাড়া, আনার পাড়ার ৫ শতাধিক পরিবারে ত্রাণ বিতরণ করেছেন। এইছাড়া ও হলদিয়া পালং ইউনিয়নের পাতাবাড়ি, নলবনিয়া , রুমখা বড়ুয়া পাড়া, ক্লাশ পাড়া, কুলাল পাড়া, জনাব আলী পাড়া, মৌলভী পাড়া, বড়বিল, হাতির ঘোনার দুই হাজার পরিবারে শুকনা খাবার বিতরণ করেছেন। এইছাড়াও রুমখা চৌধুরী পাড়ায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক চৌধুরী, কোটবাজার দোকান মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি আবু ছিদ্দিক বন্যার সময় নিজ উদ্যোগে খাবার সরবরাহ করেছেন।
তবে রত্নাপালং ইউনিয়ন ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হলেও কোন ধরনের ব্যক্তিগত এবং পরিষদ থেকে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হয় নি। এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে পশ্চিম রত্নার মোঃ আলমগীর, নুরুল হক জানান, পশ্চিম রত্না গ্রামে বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কাচা ঘরবাড়ি তে এখনো চুলায় আগুন জ্বলেনি। খাবার নিয়ে চরম দুর্ভোগে রয়েছি। অথচ সরকারী এবং ব্যক্তিগত তহবিল থেকে কোন ধরনের সহায়তা করা হয় নি।
রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী জানান, রত্নাপালং ইউনিয়নে ৪০ টি বাড়ি সম্পূর্ণ, শতাধিক বাড়ির আংশিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এইছাড়াও তিন কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা এবং দেড় কিলোমিটার পাকা রাস্তা বিছিন্ন হয়ে গেছে। ব্যক্তিগত তহবিল থেকে কোন ধরনের সহায়তা করা হয়নি বলে ও জানান তিনি।
এই ব্যাপারে জানতে চাইলে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাঈন উদ্দিন জানান, এখনো বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা যায় নি। সরকারী কোন ত্রাণ বরাদ্দ পাওয়া না গেলে ও জেলা প্রশাসন থেকে ত্রাণের আশ্বাস পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।