ঈদগাঁওতে নেমে যাচ্ছে বন্যার পানি, খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট

এস. এম. তারেক :

বৃষ্টিপাত কমে আসায় বৃহত্তর ঈদগাঁও’র বন্যায় প্লাবিত এলাকাগুলো থেকে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। ভেসে উঠছে ক্ষত চিহ্ন। ঘরবাড়ী ও অভ্যন্তরীন সড়ক, উপ-সড়কগুলোর অবস্থা বসবাস এবং চলাচলের অযোগ্য হয়েছে পড়েছে। বৃহত্তর ঈদগাঁও’র বিভিন্ন এলাকার লোকজন টানা ৪ দিন পানিবন্দী থাকার পর ক্ষতি কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করছেন। সরেজমিনে পরিদর্শণকালে দূর্গত এলাকাগুলোতে খাদ্য ও পানীয় জলের সংকট লক্ষ্য করা গেছে। ঈদগাঁও’র সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ জনপদ জালালাবাদ ইউনিয়নে গতকাল ৭ জুলাই শুক্রবার প্রায় ১২’শ পরিবারের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদের নেতৃত্বে দুর্গতদের মাঝে চাল বিতরণ করা হয়। ইউনিয়নের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ মাছুয়াপাড়া, গোলপাড়া, মোহনভিলা পালাকাটার ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড ছাতিপাড়া, পূর্বলরাবাক, দঃ লরাবাক ও চরপাড়া এলাকার গরীব ও দুঃস্থদের মাঝে এসব ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়। অবশ্য গতকাল বিকেলে জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠণিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী জালালাবাদের ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাসমুহ ভাঙ্গা সড়ক ও বেড়িবাধ পরিদর্শণ করেন এবং দুর্গত মানুষের সাথে কথা বলেন। শ্রীঘ্রই ভাঙ্গা বেড়িবাধ ও সড়ক পুণঃনির্মাণের জন্য সংশ্লিদের সাথে তিনি কথা বলবেন বলে উপস্থিতদের আশ্বস্ত করেন। এসময় জালালাবাদের ইউপি চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদ, ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ সাইফুল হক, সেলিম উল্লাহসহ তার সফরসঙ্গীগন ও এলাকার বিশিষ্টজনেরা তার সাথে ছিলেন। একই দিন বিকেলে জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ হোছাইন তানিমের নেতৃত্বে একটি দল জালালাবাদের ভাঙ্গণ এলাকা পরিদর্শণ শেষে দূর্গতদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন। এসময় ঈদগাঁও সাংগঠণিক উপজেলা প্রেস ক্লাব সভাপতি এস. এম. তারিকুল হাসান তারেক, ঈদগাঁও সাংগঠণিক উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ উদ্দিন রাশেল, সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা বিশাদসহ ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা তার সাথে ছিলেন। এলাকাবাসীর মধ্যে মোঃ শফিকুল ইসলাম, আবছার কামাল এবং আবদুর রহিম প্রতিনিধিদলের নিকট ক্ষয়ক্ষতির বিবরন তুলে ধরেন। এদিকে ঈদগাঁওয়ে’র সাথে ফরাজীপাড়া ও পোকখালীর এবং ঈদগড়ের সড়ক যোগাযোগ অদ্যবধি বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে করে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে জরুরী ভিত্তিতে বাধ ও সড়ক নির্মাণ করা না হলে বর্ষা মৌসুমে ওই এলাকা বারবার বন্যার পানিতে প্লাবিত হওয়ার সমুহ আশংকা রয়েছে। এদিকে ঈদগাঁও’র বিভিন্ন এলাকায় ব্যক্তিগত ও সরকারীভাবে বিতরণকৃত ত্রাণ সামগ্রী প্রয়োজনের তুলনায় অপর্যাপ্ত হওয়ায় আরো ত্রাণ সামগ্রীর প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছে এলাকার অভিজ্ঞ মহল। এদিকে বন্যার কারণে ধানের বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়া এবং ফসলী জমিতে বালি ও পলি উঠে যাওয়ায় ওইসব জমিতে চলতি বর্ষা মৌসুমে ধান চাষ অনেকটা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। যেকারণে খাদ্য সংকটের আশংকা করছেন এলাকার প্রান্তিক চাষীরা।