এফ এম সুমন পেকুয়া:

টানা বৃষ্টি ও মাতামুহুরী নদী দিয়ে পাহাড়ি ঢলের পানি নেমে এসে প্লাবিত হয়েছে লোকালয়। ফলে চকরিয়া পেকুয়ায় বন্যা পরিস্থিতি চরম আকার ধারন করেছে। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে আরো কয়েকটি ইউনিয়ন । চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী,বরইতলী,বহদ্দার কাটা,পৌরসভা,সুরাজ পুর মানিক পুর, কাকারা,সাহারবিল,হারবাং বরইতলী, লক্যার চর,বিএম চর, ডেমুশিয়া বদরখালী পশ্চিম বড় ভেউলা,পূর্ব বড় ভেউলা,চিরিজ্ঞা ফাসিয়া খালী,খুটা খালী,ডুলহাজারা কৈয়ার বিল বমুবিল ছড়ি সহ প্রায় ১৮ টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। যার ফলে মানুষের দূর্ভোগের শেষ নেই। ইতিমধ্যেই দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবারের সংকট। ইউনিয়নের সাথে ইউনিয়নের আন্ত যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা ও বন্ধ রয়েছে। দূর্গত এলাকার স্কুল কলেজ ও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই ব্যাপারে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাহেদুল ইসলাম বলেন, চকরিয়া প্রায় তিন লক্ষাধিক মানুষ পানি বন্দি ইতিমধ্যেই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে । পেকুয়া সদর ইউনিয়নের পূর্ব মেহেরনামা, মোরার পাড়া ও শীলখালী ইউনিয়নের হাজীর ঘোনা, মাঝের ঘোনা, জারুলবনিয়া গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ এখন পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। এদিকে বরইতলি-মগনামা সড়কের ১কিলোমিটার অংশ (সালাউদ্দিন ব্রীজ এলাকা থেকে পঁহরচাদা মাদ্রাসা পর্যন্ত) পানিতে ডুবে থাকায় বন্ধ রয়েছে চকরিয়া-পেকুয়ার যান চলাচল । ফলে দূর্ভোগের শেষ নেই।

পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলের পানি উপচে পড়ে প্লাবিত হয়েছে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব মেহেরনামা ও শীলখালী ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা। সড়ক প্লাবিত হয়ে বন্ধ রয়েছে চকরিয়া-পেকুয়া সড়কে যান চলাচল।