ইমরান হোসাইন, পেকুয়া:
অতিবৃষ্টির কারেণে মাতামুহুরী নদী দিয়ে পাহাড়ি ঢলের পানি নেমে এসে প্লাবিত হয়েছে লোকালয়। পেকুয়া সদর ইউনিয়নের পূর্ব মেহেরনামা, মোরার পাড়া ও শীলখালী ইউনিয়নের হাজীর ঘোনা, মাঝের ঘোনা, জারুলবনিয়া গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ এখন পানিবন্দি।
এদিকে বরইতলি-মগনামা সড়কের ১কিলোমিটার অংশ (সালাউদ্দিন ব্রীজ এলাকা থেকে পঁহরচাদা মাদ্রাসা পর্যন্ত) পানিতে ডুবে থাকায় বন্ধ রয়েছে চকরিয়া-পেকুয়ার যান চলাচল। তবে যাত্রীরা সড়কের এ অংশটি পারাপার হচ্ছেন ভ্যানযোগে। এভাবেই পেকুয়া থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানের সাথে যোগাযোগ করছেন হাজার হাজার মানুষ।
কিন্তু যাত্রীদের অভিযোগ এই ১কিলোমিটার সড়ক পাড়ি দিতে গুনতে হচ্ছে ৩০-৪০টাকা ভাড়া। চকরিয়া থেকে পেকুয়া যেতে বিভিন্ন বাহনে স্বাভাবিকভাবে ভাড়া দিতে হয় ৪০টাকা। বর্তমানে মৌসুমি ভ্যান চালকরা যাত্রীদের জিম্মি করে আদায় করছেন এ অতিরিক্ত ভাড়া।
ভ্যান চালক মহিউদ্দিন বলেন, পানির মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে ভ্যানে মানুষ টানছেন তারা। তাই যাত্রীদের সাথে কথা বলেই একটু বেশিই নিচ্ছেন ভাড়া।
পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলের পানি উপচে পড়ে প্লাবিত হয়েছে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব মেহেরনামা ও শীলখালী ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা। সড়ক প্লাবিত হয়ে বন্ধ রয়েছে চকরিয়া-পেকুয়া সড়কে যান চলাচল।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।