শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর:

কক্সবাজার সদরের চৌফলদন্ডীতে সীমানা বিরোধের জের ধরে দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে কমবেশি ৮ জন আহত হয়েছে। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এসময় একপক্ষের দোকান ও বসতঘরে হামলা চালিয়েছে অপর পক্ষ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও কাউকে আটক করতে পারেনি। সংঘটিত ঘটনায় উভয়পক্ষের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মত ঘটনা ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে। ২৯ জুন সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে ইউনিয়নের দক্ষিণ পাড়ায়। আহতরা হল স্থানীয় উসমানের পুত্র গুরা মিয়া (৬৫), মোক্তারুল আলমের পুত্র আরমান (২২), ওসমান আলীর পুত্র নুরুল ইসলাম, নুরুল কবিরের স্ত্রী সালমা বেগম (২৯), নুরুল ইসলামের পুত্র আবছার (২৮), আবদুল হাকিমের পুত্র আবুল কাশেম (২০), মৃত গুরা মিয়ার পুত্র শহর মুল্লুক (৪০) ও নুরুর স্ত্রী বানু বেগম (৩৮) বলে জানা গেছে। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, এলাকার গুরা মিয়া গংয়ের সাথে নুরু গংয়ের সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গত বুধবার সকালে নুরু পক্ষের লোকজন টেংরা দেওয়ার সময় বাধা প্রদান করে গুরা মিয়া গংয়ের লোকজন। এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে বাক বিতন্ডা সৃষ্টি হলে নুরুর নিকটতম আত্মীয় আবুল কাশেমকে উপর্যুপরী মারধর করে।
মারধরের বিষয়টি স্থানীয় এমইউপিকে জানালে পরদিন ১১টার দিকে শালিসী বৈঠকের দিনক্ষণ ঠিক করে। এদিন উভয়পক্ষ বৈঠকে বসলে হঠাৎ আবুল কাশেম উত্তেজিত হয়ে গুরা মিয়া গংয়ের নুরুল কবির নামে অপর এক ব্যক্তিকে হামলা করলে উভয়পক্ষের মধ্যে সৃষ্টি হয় ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া। এসময় উভয়পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হয়েছে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। এসময় আবুল কাশেম গ্রুপের লোকজন নুরুল ইসলামের বাড়ী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন তিনি। তাৎক্ষনিক খবর পেয়ে চৌফলদন্ডী আরএফএফ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইউছুপের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও কাউকে আটক করতে পারেনি। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করায় এলাকাবাসী আতঙ্কে রয়েছে। যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের জন্ম নিতে পারে বলে ধারণা করে তারা। স্থানীয় এমইউপি রাসেদুল ইসলাম রাসেল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
এদিকে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ খায়রুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক এসআই দেবাশীষ সরকার ও চৌফলদন্ডী ফাঁড়ির ইনচার্জকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। মামলা রুজু হলে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। এ ঘটনায় উভয়পক্ষ মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।