ডেস্ক নিউজ:
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ‘বাংলাদেশে ব্যাংকিং খাত অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় আছে যা সমগ্র অর্থনীতিতে বড় ধরনের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। এজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে যাতে অর্থনীতি ঝুঁকিতে না পড়ে।’ অর্থমন্ত্রী বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সকালে জাতীয় সংসদে অর্থ বিভাগ খাতে ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের প্রয়োজনীয় সাকুল্য অনুন্নয়ন ও উন্নয়ন ব্যয় নির্বাহের জন্য রাষ্ট্রপতিকে অনধিক ৫৩ হাজার ৮৩৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা মঞ্জুরির প্রস্তাব করলে ৬ জন সংসদ সদস্য এতে আপত্তি করেন। সংসদ সদস্যদের আপত্তির জবাবে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
পরে আপত্তি আনা সংসদ সদস্যদের প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকোচ হয়ে যায়। স্পিকার শিরিন শারমিনের সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন চলছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাংকের লালবাতি জ্বললে আমানতকারী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সরকার ব্যবসা করলে ভালো করে না, এ জন্যই সরকারকে ব্যবসা করার কার্যক্রম থেকে দূরে রাখা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অর্থনীতির ৮০ শতাংশ ব্যবসায়ীই বেসরকারি খাতে পরিচালিত হয় এবং তারা ভালো করছে। গত ৮ বছরে ব্যাংকিং খাত ও মানি মার্কেটে ন্যায়নিষ্ঠভাবে কাজ করছে। মানি মার্কেট ও ব্যাংকিং খাতে সংস্কারে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তার সুফল আপনারা অতিসত্ত্বর দেখতে পাবেন। বর্তমানে বাংলাদেশে ৫৮টি ব্যাংক তার কার্যক্রম পরিচালনা করছে।’
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।