ইমাম খাইর, সিবিএন
ক’দিন পরেই ঈদ-উল ফিতর। ইতোমধ্যে সরগরম হয়ে উঠছে রমজানের ঈদ বাজার। বৃষ্টির কারণে সপ্তাহ আগে ঈদ বাজার নিয়ে ব্যবসায়ীদের খানিক হতাশা থাকলেও তা অনেকটা কেটে গেছে।
চলছে জমজমাট বিকিকিনি। শুধু দিনের বেলা নয়, রাত অবধি চলছে কেনাকাটা। দম ফেলানোর সময় নেই ব্যবসায়ীদের। হরেক আইটেমে সাজিয়ে তোলা হয়েছে শহরের বিপণী বিতানগুলোকে। জুতার মার্কেট কিংবা প্রসাধনী আইটেমের মার্কেট- সবখানে প্রচুর লোক সমাগম বেড়েছে। এবারের ঈদ মার্কেটে এক্সক্লুসিভ আইটেমে বেড়েছে আকর্ষণ।
মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, শহরের পানবাজার সড়কের ফিরোজা শপিং কমপ্লেক্স ১ম তলায় অবস্থিত ‘আরএক্স’ সু-তে বিভিন্ন ডিজাইনের এক্সক্লুসিভ আইটেমের দেশী-বিদেশী জুতার বিপুল সমাহার ঘটেছে। জুতা কিনতে গিয়ে ‘চয়েস’ না হওয়ার কারণ দেখিয়ে এখান থেকে ফেরত যেতে হয়না ক্রেতাদের।
জুতো কিনতে আসা শহরের নুরপাড়ার আফিয়া তাহসিন ইমা জানায়, আরএক্স থেকে আমি সুন্দর জুতো কিনেছি। আব্বু কিনে দিয়েছে। খুব সুন্দর লাগছে। নতুন জুতো পড়ে আমি ঈদে যাব।
‘আরএক্স’-এ উল্লেখযোগ্য নজর কাড়ানো জুতার মধ্যে রয়েছে ইন্ডিয়ান কারচুপি, চায়না বেবি, পাকিস্তানি নাগরা ও ‘আরএক্স’ এর নিজস্ব কারখানায় তৈরীকৃত অত্যাধুনিক ডিজাইনের লেডিস-জেন্টস আইটেম সামগ্রী। এছাড়াও এখানে রয়েছে ছেলেদের জন্য আলাদা গুনমানে তৈরীকরা অত্যধুনিক মডেলের ফ্লাট সেন্ডেল। যা নিত্য ব্যবহারে খুব আরাম দায়ক।
শহরের জুতার বাজারের শীর্ষস্থানীয় নাম ‘আরএক্স’-এ রাত অবধি ক্রেতাদের ভীড় লক্ষণীয়। তুলনামূলক কম দাম ও জুতার আপোষহীন মানে এর কোন জুড়ি নেই। শত জুতার দোকানের ভিড়ে তারা অনেক এগিয়ে। এ কারণে শহর ছাড়া গ্রাম-গঞ্জের প্রচুর পরিমাণ ক্রেতার সমাগম ঘটে থাকে এখানে। তাছাড়া ‘আরএক্স’-এ কর্মরতদের আতিথিয়তাপূর্ণ ব্যবহারে তারা ক্রেতামহলে ইতিমধ্যে সাড়া জাগাতে সক্ষম হয়েছে। গ্রাহক সন্তুষ্টিই তাদের মূল লক্ষ্য বলে তারা জানিয়েছে।
‘আরএক্স’ এর মালিক আব্দুল মান্নান জানান, দীর্ঘ ৭ বছর ধরে এ ব্যবসা। ব্যবসায় ‘কমিটমেন্ট’ রক্ষা করায় তার দোকানের প্রতি দিন দিন আকর্ষণ বেড়েছে ক্রেতাদের।
তিনি জানান, তার দোকানে তুলনামূলক কম মূল্যে জুতা বিক্রি হয়। এ কারণে শহর ছাড়াও প্রত্যন্ত অঞ্চলের কাষ্টমার আসার পরিমাণ সন্তুষজনক।