শাহেদ মিজান, সিবিএন:
মহেশখালীর শাপলাপুরে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে র‌্যাব। ২০ জুন দিবাগত রাত ১ টার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ৩ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।

আটককৃতরা হলো-  ফকিরখালী পাড়ার নুর আহম্মেদ ছেলে মোঃ হাবিবুর রহমান (৩২), বাড়িয়াছড়ির মৃত নুরুল আফছার এর ছেলে মোঃ নাসির উদ্দিন (৩০) এবং উত্তর নলাবিলার আজিজুল হক এর ছেলে শহিদুল ইসলাম (২৪)।

উদ্ধার হওয়া অস্ত্রে মধ্যে রয়েছে, ১৩টি ওয়ান শুটারগান, ২২ টি ১২ বোর শর্টগানের গুলি, ৪০৮ টি ৫.৫ মিমি/২২ গুলি। এছাড়াও নগদ ২৩ হাজার টাকাও উদ্ধার করা হয়। র‌্যাব কক্সবাজার ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর রুহুল আমিনের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।

অন্যদিকে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব-৭ এর কক্সবাজার কোম্পানী কমান্ডার মেজর মোঃ রুহুল আমিন জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শাপলাপুর এলাকায় অস্ত্র ব্যবসায়ীরা আগ্নেয়াস্ত্র ক্রয়-বিক্রয় করার লক্ষে অবৈধ অস্ত্রসহ অবস্থান করার খবর পেয়ে র‌্যাব সেখানে অভিযান চালায়। অভিযানে তিন অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র‌্যাব। পরে তাদের স্বীকারোক্তি মতে স্থানীয় এনামুল হকের বসতবাড়ীর পূর্বদিকের দোচালা গোয়ালঘরের ভিতরে খড়কুটার মধ্যে তল্লাশী করে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়।

মেজর রুহুল আমিন বলেন, ডাকাতি, লবণ চাষীদের নিকট থেকে চাঁদা আদায়, মাছের ঘের হতে চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায় সন্ত্রাসীরা। এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটানোর জন্য সন্ত্রাসীরা সব সময় অবৈধ অস্ত্র মজুদ রাখে। আটক অস্ত্র ব্যবসায়ীরা ওইসব সন্ত্রাসীদের কাছে অস্ত্র সরবরাহের জন্য অস্ত্র বেচাকেনা করছিল। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা এই কথা স্বীকার করেছেন।

আটককৃত বিরুদ্ধে র‌্যাব বাদী হয়ে মহেশখালী থানায় মামলা দায়ের করে তাদেরকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান কোম্পানি কমান্ডার মেজর রুহুল আমিন।

এদিকে আটক মোঃ হাবিবুর রহমানের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসের দাবী, তার স্বামী একজন উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তি। অস্ত্র ব্যবসা তো দূরের কথা হাবিবুর রহমান অস্ত্র জীবনে চোখেও দেখেনি।

তিনি বলেন, আমার স্বামী মঙ্গলবার (২০ জুন) কক্সবাজার শহরের আলিরজাঁহালস্থ বাসায় সেহেরীর পর নামাজে বের হয়। রাত ১২ পর্যন্ত আমার সাথে যোগাযোগ ছিল। ওই সময় সে কয়লাবিদ্যুত প্রকল্পের ক্ষতিপূরণের ফাইল নিয়ে কক্সবাজার আদালত এলাকায় ছিল বলে জানায়। এর পর থেকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি। বুধবার সকাল ৭টা ২০ মিনিটের দিকে অন্য একটি নাম্বার থেকে ফোন দিয়ে তাকে র‌্যাব আটক করেছে বলে জানায়। এলাকার প্রতিপক্ষরা পরিকল্পিতভাবে তাকে ফাঁসিয়েছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবী করেন হাবিবুর রহমানের স্ত্রী।