মুহাম্মদ তাহের নঈম, টেকনাফ থেকে:

শিশু তানজিন। পূরো নাম দিলারা জাহান তানজিন। ৬ সেপ্টেম্বর ০৬ (৬/০৯/২০০৬) সালে তার জম্ম। তার পিতা মোঃ আবুল হাশেম পেশায় একজন গ্রাম্য ডাক্তার। মাতার নাম, নুরজাহান। সে বাহার ছড়ার ছেপট খালীর কবির আহমদের মেয়ে। ১লা এপ্রিল ২০০৫ সালে নুর জাহানের সাথে ২য় বিয়ে হয় হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ঘিলাতলীর আব্দুন্নবীর পুত্র মোঃ আবুল হাশেম এর সাথে। এর আগে নুর জাহানের সাথে ১ম বিয়ে হয় মনখালীর জনৈক নুরুল বশরের সাথে। এ সংসারে ১ ছেলে মেয়ে সহ মোট ৩ সন্তানের জম্ম হয়। ২য় বিবাহের সংসার আবুল হাশেম এর সাথে। এতে জম্ম হয় এক মেয়ে দিলারা জাহান তানজিন। শিশু তানজিনের বয়স যখন ৬ বছর তখন তানজিনের মা নুর জাহানের সাথে ২০১২ সালে আবুল হাশেম এর বিয়ে বিচ্ছেদ হয়। স্থানিয় জালিয়া ফালং ইউনিয়নের তৎকালিন ৯ নং ওয়াডের মেম্বার সুলতান আহমদ ও হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার হাজ¦ী জলাল আহমদ সহ গন্যমান্য ব্যাক্তি বর্গের উপস্থিতিতে নুর জাহানের যাবতীয় মোহরানা প্রদান করে শিশু তানজিনকে ৭ বছর পূর্ন না হওয়া পর্যন্ত মার হেফাজতে রাখার ও প্রতি মাসে ধার্য্যকৃত খোরাকীর উপর উভয়ের সম্মতিক্রমে লিখিত ভাবে চুক্তিপত্রের মাধ্যমে বিয়ে বিচ্ছেদ হয়।

মাসিক ধার্য্যকৃত খোরাকী প্রদান সত্বে ও তানজিনার মাতা নুর জাহান কতিপয় অসাধু ব্যাক্তিদের প্ররোচনায়  পারিবারিক আদালতে (উখিয়া কোর্ট ১১/১৩)মামলা দায়ের করে। বিজ্ঞ আদালত তানজিন কে স্ববালগ হওয়া পর্যন্ত যুগোপযোগী খোরাকী ধার্য্য করে মাতা নুর জাহানের হেফাজতে রাখার রায় প্রদান করেন। তানজিনের পিতা আবুল হাশেম আদালতের রায় যথাযত ভাবে মেনে নিয়ে নিয়মিত শিশু তানজিনের জন্য ধার্য্যকৃত খোরপোষ আদায় করলে ও শিশু তানজিনের প্রতি বৈষম্যের অভিযোগ তুলেছেনে তানজিনের পিতা আবুল হাশেম।

তার মতে, তানজিন শিক্ষা সহ যাবতীয় মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। একজন শিশু হিসাবে “তানজিন” তার ন্যায্য অধিকার কত টুকু পাচ্ছে? মুঠোফোনে এমন প্রশ্ন করা হলে মাতা নুরজাহান খুব ব্যাস্ত আছি বলে মোবাইল কেটে দেয়।

এ ব্যাপারে প্রতিবেদক মোঃ আবুল হাশেম এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি একজন পিতা হিসাবে মেয়ে তানজিন কে দেখার নৈতিক দায়িত্ব আমার আছে। দুঃখজনক হলে ও সত্য যে আমার মেয়ে কে দেখতে গেলে কৌশলে তানজিন কে লুকিয়ে রাখে। বর্তমানে তানজিনার বয়স ১১ হলেও বয়স অনুপাতে তার লেখাপড়া সহ সকল সুযোগ সুবিধা থেকে তাকে অন্ধকারে রাখা হয়েছে। ফলে শিক্ষা থেকে ও অনেক পিছিয়ে আছে তানজিন।আমি কক্সবাজার শহরের ৩টি আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করে তানজিনের শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারুপ করে মাননীয় আদালতে আবেদনের আরজি পেশ করলে বিজ্ঞ আদালত তা গ্রহন করে শুনানীর পক্রিয়াধীন রাখেন। বর্তমানে শিশু তানজিনের ভবিষ্যত অন্ধকার বলে মনে করছেন তার পিতা আবুল হাশেম। তিনি তার শিশু কন্যার মৌলিক অধিকার ফিরে পেতে সংশ্লিষ্ট সকলের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।