ডেস্ক নিউজ:

কক্সবাজার জেলার সেনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর তিন ধাপে বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে; যা ২০৫৫ সালে নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন নৌমন্ত্রী শাজাহান খান। রোববার সংসদে কক্সবাজার-১ এর এমপি মোহাম্মদ ইলিয়াছের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

নৌমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারের সেনাদিয়ায় একটি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের জন্য ২০০৯ সালে জাপানের প্যাসিফিক কনসালট্যান্ট ইন্টারন্যাশনাল (পিসিআই) কর্তৃক টেকনো ইকোনোমিক ফিজিবিলিটি স্টাডি করা হয়। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান পিসিআই কর্তৃক দাখিলকৃত সমীক্ষা প্রতিবেদনে সোনাদিয়ায় তিনধাপে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রথম পর্যায়ে বন্দর নির্মাণের কাজ শুরু করার পর তা পাঁচ বছর প্রয়োজন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের কাজ যথাক্রমে ২০৩৫ এবং ২০৫৫ সাল নাগাদ সমাপ্তির পরিকল্পণা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এ ছাড়া জাইকা কর্তৃক মাতার বাড়িতে একটি বহুমুখী গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপনের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালিত হচ্ছে। এর পরে সার্বিক বিবেচনা করে নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

নারায়নগঞ্জ-১ আসনের এমপি গোলাম দস্তগীর গাজীর আরেক প্রশ্নের জবাবে শাজাহান খান বলেন, দেশের মৃতপ্রায় নদীসমূহের পুররুদ্ধারে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৩টি নৌপথ খননের অংশ হিসেবে প্রথম পর্যায়ে ২৪টি নৌপথ খনন এবং ৫০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২টি গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ খননের কাজ চলমান।

এ ছাড়া বিশ্ব ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় প্রায় ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নৌ টার্মিনাল নির্মাণসহ চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ ও সংযুক্ত ৯০০ কিলোমিটার নৌপথে ক্যাপিটাল ড্রেজিং করা হবে এবং ১৪টি লেন্ডিং স্টেশন উন্নয়ন, ৬টি ভেসেল সাইক্লোন শেল্টার, ৬টি প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল, ২টি কার্গো টার্মিনাল এবং ৩০০ কিলোমিটার নেভিগেশানাল এইড স্থাপণ করা হবে।

ফেনী-২ আসনের এমপি রহিম উল্লাহের অপর এক প্রশ্নের জবাবে নৌমন্ত্রী জানান, বর্তমানে বর্ষা মৌসুমে ৬ হাজার কিলোমিটার ও শুষ্ক মৌসুমে ৪ হাজার ৫০০ কিলোমিটার নৌপথ আছে। কোনো লঞ্চ বা স্টিমারে যদি জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম পর্যাপ্ত না থাকে তাহলে ওই লঞ্চের যাত্রা স্থগিত করাসহ মামলা দায়ের করা হবে। এ ছাড়া প্রতিটি লঞ্চে ভয়েজ ডিক্লারেশন প্রদান বাধ্যতামূলক।