টেকনাফ  সংবাদদাতা :
টেকনাফ পৌরসভার ডেইল পাড়া এলাকার আলোচিত এবং সমালোচিত একটি পরিবারের কাছে এলাকাবাসী জিম্মি হয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে। তাদের অব্যাহত ত্রাসের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেনা। ৪-৫ বছর আগে বেকার জীবন-যাপন করলেও এখন টাকা-জমির মালিক হওয়ায় এলাকার মানুষ এখন তাদের হাতে জিম্মি বললেও চলে। টেকনাফের এক প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় শক্তিশালী বাহিনী গঠন করে নিরীহ লোকদের মুল্যবান জমি জোরপুর্বক জবরদখল, বাহিনী দিয়ে ডাকাতি, ইয়াবা ব্যবসা করে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গিয়েছে। দৃশ্যমান কোন ব্যবসা না থাকা সত্বেও জমি-বাড়িসহ সম্পদ গড়ে তুলেছে। তাছাড়া প্রভাব ও আধিপাত্য বিস্তারে ডেইলপাড়া এলাকায় ত্রাস সৃস্টি, হুমকি-ধমকিসহ যা ইচ্ছা তা করে যাচ্ছে। কয়েক দিন আগে পুলিশের হাতে আটক অভিযুক্ত নুর আহমদ শুধু এস আই মুফিজের হাতে ২ হাজার পিস ইয়াবাসহ প্রথমবার আটক হয়েছে এমনও নয়। এর আগেও কয়েকবার ইয়াবাসহ বিজিবি কর্তৃক আটক হয়ে কারাবরণ করেছেন। কিন্তু সেই আটক নিয়ে তার পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় দুবাই প্রবাসী আবদুল গফুরের পুত্র মো: শফিকের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করে। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড আড়াল করার জন্য দুবাই প্রবাসী মো: শফিকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে যাচ্ছে। নুর মোহাম্মদের কয়েক ছেলে শফিক, মুফিজ, হাফেজ উল্লাহ, ফরিদ আলম কালা বাহিনী গঠন করে নিরীহ লোকদের মুল্যবান জমি জোরপুর্বক জবরদখল, বাহিনী দিয়ে ডাকাতি, ও ইয়াবা ব্যবসা ছাড়াও তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ফিরিস্তী অনেক লম্বা। তাদের মধ্যে উল্ল্যেযোগ্য হচ্ছে- ডেইল পাড়া এলাকার টমটম চালককে মারধর, এলাকার লোকজন প্রতিবাদ করলে উল্টা এলাকার মানুষকে অস্ত্র দিলে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে, এই ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়। একই এলাকার রশিদ আহম্মদের পুত্র জাহাঙ্গী ও কালা মোহাম্মদ আলীর ও কচুবনিয়া পাড়ার রশিদের জমি জোরপুর্বক জবরদখল করে। বর্তমানে তারা এলাকায় প্রকাশ্যে বহাল তবিয়তে আইন শৃংখলা বাহিনীর ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসী এ ব্যাপারে প্রশাসনসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জরুরী হস্তক্ষেপ দাবী করেছে।