এম.এ আজিজ রাসেল:
“আমি প্রকৃতির, প্রকৃতি আমার” এ প্রতিপাদ্যে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশ্ব পরিবেশ দিবস। ৫ জুন সোমবার সকালে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো: সাইফুল ইসলাম মজুমদার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো: আলী হোসেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, পৃথিবীর পরিবেশ চক্রের অনেক কিছুই সংকটপূর্ণ আঘাতের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তাই পরিবর্তনের এখনই সময়। পরিবেশ রক্ষা এবং কার্বন হ্রাস কমানোর ব্যাপারে আমাদের প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে। স্থিতিশীল উন্নয়নের লক্ষ্যে পরিবেশের ক্ষতি-বৃদ্ধি ব্যতিরেকে সকল মানুষের জীবন-মান উন্নয়নে সচেতন থাকতে হবে। এছাড়া পণ্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে, জ্বালানি, পানি এবং অন্যান্য সম্পদের স্বল্প ব্যবহার ও খাদ্য অপচয় কমিয়ে এনে তার যথাযথ ব্যবহার করতে পারি। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (উত্তর) কেরামত উল্লাহ মল্লিক ও কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তারা বলেন, বর্তমান সরকার রূপকল্প ২০২১ এবং ২০৪১ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। সরকার সকল উন্নয়নের ক্ষেত্রে পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্যকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। পরিবেশ, বন্যপ্রাণি, প্রকৃতি এবং জীববৈচিত্র রক্ষায় সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। বিশেষ করে নতুন প্রজম্মকে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ভূমিকা রাখতে হবে। পরিবেশ রক্ষায় সচেতন না হলে একদিন আমাদেরকে কঠিন বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে হবে। তাই প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার্থে বন উজাড়, পাহাড় কর্তন ও বালি উত্তোলনের মত পরিবেশ বিপর্যয়ের নানা অনৈতিক কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে সকলকে। এসময় জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার ও এক্সিকিউটভি ম্যাজিষ্ট্রেট রুবাইয়া অফরোজ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী, পরিবেশ সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। পরে রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগীতার বিজয়ীদর মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।