এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া: 

দূর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম বলেছেন, না খেয়ে একজন মানুষও মরবে না। আমাদের সরকার সে ব্যবস্থা নিয়েছে। উপকুলের মানুষ আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন ও সাহসী। এই ধরনের দুর্যোগ আসবে। তাই আমাদের দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হলে কৌশল গ্রহণ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ উপকুলের মানুষ যেন কষ্ট না পায়। শনিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে ও কোনাখালী ইউনিয়নের বটতলী এলাকায় ঘুর্ণিঝড় ‘মোরার” আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থদের ত্রান সামগ্রী বিতরণ কালে এসব কথা বলেন।

চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাফর আলম মন্ত্রীর কাছে দূর্গত এলাকার মানুষদের জন্য ১০ হাজার বান টিন সহায়তা চাইলে মন্ত্রী বলেন, প্রকৃত যারা ক্ষতিগ্রস্থ তাদের শুধু টিন না নগদ টাকাও প্রদান করা হবে। যাতে করে এরা নতুন ঘর তুলতে পারে। এসময় তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উদ্যোশে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরী করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোরও নির্দেশ প্রদান করেন। এর আগে উপজেলার কোণাখালী ইউনিয়নে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন মন্ত্রী।

কোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার ও বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খাইরুল বশরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলাদা দুটি সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ত্রাণ ও দূর্যোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.শাহ্ কামাল, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ জাফর আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কাজী আবদুর রহমান, চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম, পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহাবুব-উল করিম, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো.দিদারুল আলম, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর চৌধুরী, চকরিয়া থানার ওসি মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা মো.নুরুল আবছার, চকরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ একেএম গিয়াস উদ্দিন, চকরিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম আজাদ, নারী ভাইস চেয়ারম্যান সাফিয়া বেগম শম্পা ও মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাহারবিল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহসিন বাবুল, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জোবায়ের হাসান ।

বক্তব্য রাখেন বিএমচর ইউপি চেয়ারম্যান এসএম জাহাংগীর আলম, সাবেক চেয়ারম্যান বদিউল আলম, কাকারা ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত ওসমান, টইটং ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, বদরখালী ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল বশর, সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি নুরে হোছাইন আরিফ, বদরখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন টিটু, শেখ সালাহ উদ্দিন, ইউনুছ ছিদ্দিকী, পশ্চিম বড়ভেওলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান, আওয়ামীলীগ নেতা জাফর আলম ছিদ্দিকী, মাতামুহুরী উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আনসারুল করিম, চকরিয়া সিটি কলেজের প্রভাষক মনজুর আলম, কোনাখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম, ইউপি মেম্বার মোহাম্মদ হোসেন, মেম্বার আশরাফ হোসেন, মাতামুহুরী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজবাহ উদ্দিন বেলাল সহ স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্য, এলাকার সুধীজন।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ঘুর্ণিঝড় মোরায় নিহত চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার চারজনের পরিবারের হাতে নগদ ২০ হাজার করে টাকা এবং কোনাখালী ইউনিয়নে সাড়ে ৫শত ও বদরখালী ইউনিয়নে ৭শত ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে ত্রাণের চাল বিতরণ করেন।