রিয়াজুল হাসান খোকন, শামলাপুর
ঘূর্ণিঝড় মোরার তীব্র আঘাতে লন্ডবন্ড হয়েছে টেকনাফ উপকূলীয় ইউনিয়ন বাহারছড়ার বিভিন্ন ঘরবাড়ি ও বিভিন্ন বাগানের গাছপালা। বিশেষ করে বর্তমানে বাহারছড়ায় চলছে সুপারি ধরার মৌসুম, তাই ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে বেশী ভাগ ক্ষতি হয়েছে সুপারি বাগানের। অনেক খানে দেখা যায় ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে সুপারি ভর্তি অনেক বড় বড় সুপারি গাছ ভেঙ্গে চুরমার হয়েছে যাই, তাই সুপারি বাগানের মালিকদের মতে পুরো বাহারছড়ায় যে সুপারি গাছ গুলো মোরার আঘাতে ভেঙ্গে গেছে তাতে কয়ক্ষতির পরিমান প্রায় তিন কোটি টাকার কম হবেনা। অন্য দিকে ১০ নাম্বার মহা বিপদ সংকেত এই মোরার তীব্র আঘাতে লন্ডবন্ড হয়েছে অনেক কড় বাঁশের তৈরি ঘরবাড়ি, ও মালিকানাধীন বিভিন্ন মেহগনী বাগান, কলা বাগান, আকাশমনি বাগান, লেবু ও আম বাগানের, আর লন্ডবন্ড হয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত। তবে এই রির্পোট লেখা পর্যন্ত বাহারছড়ায় মোরার আঘাতে কেউ আহত বা নিহত হননি বলে বিভিন্ন মাধ্যমে খবর পাওয়া যায়। এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাত শুরু হওয়ার আগে ২৯ মে রাতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে সর্বসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়স্থলে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়, এবং তার পরিপেক্ষিতেপরিপেক্ষিতে শামলাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া সর্ব সাধারণের জন্য রাতে চেহেরি খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সব কিছু মিলিয়ে টেকনাফ বাহারছড়ায় ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে গাছপালা ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হলেও কোথাও কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে বলে খবর পাওয়া যায়নি।