শাহেদ মিজান, সিবিএন:
ধেয়ে আসা ঘুর্ণিঝড় ‘মোরা’র বিপদ সংকেত বাঁচতে কক্সবাজার শহরের ১নং ওয়ার্ডের ২০ মানুষ নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে। এসব মানুষ শহরের পৌর প্রিপ্যারাটরি স্কুল, পাবলিক হল, জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়াও হাজার দু’য়েক মানুষ নুনিয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে। কক্সবাজার পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
মাহবুবুর রহমান চৌধুরী জানান, সন্ধ্যার আগে নিরাপরে সরে আসতে বলা হলেও কেউ ওই সময়ে আসেনি। তবে ১০ নং মহা বিপদ সংকেত হলে ইফতারের পর থেকে লোকজন আশ্রয়ে চলে আসে। রাত ১০ টা নাগাদ ঝুঁকিপূর্ণ সব মানুষ নিরাপদে চলে এসেছে। অনেকে আবার বিভিন্ন হোটেলেও আশ্রয় নিয়েছে।
তিনি জানান, আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য সেহেরীর খাবার দেয়া হবে। খিচুড়ি রান্না করে তাদের মাঝে বিতরণ করা হবে। এছাড়াও জরুরী প্রয়োজনী সামগ্রীও দেয়া হবে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, কক্সবাজারের উপকূলীয় উপকূলীয় এলাকা কুতুবদিয়ার সবকটি ইউনিয়নের নিচু এলাকা, মহেশখালীর ধলঘাটা, মাতারবাড়ি, কুতুবজোমের ঘটিভাঙ্গা, তাজিয়াকাটা, শাপলাপুরের জেমঘাট, কক্সবাজার শহরের সমিতিপাড়া এবং টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ, সেন্টমার্টিন ও পেকুয়ার বেশ উপকূলীয় এলাকার মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে চলে এসেছে। নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটে চলা মানুষগুলো আশ্রয়কেন্দ্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও উচু জায়গায় ঠাঁই নিয়েছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন জানিয়েছেন, অনিরাপদ স্থানে যেন একটা লোকও না থাকে সে ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কঠোর নির্দেশ দেয়ে হয়েছে।
নিরাপদ আশ্রয়ে শহরের ২০ হাজার মানুষ
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।