নাইক্ষ্যংছড়ি বৌদ্ধ ভিক্ষু হত্যা মামলা

নুরুল কবির,বান্দরবান থেকে :

বান্দরবান ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গতকাল সোমবার জেএমবি সদস্য হাসান, জহিরুল হক ওরপে জসিম, তাঁর স্ত্রী মোছাম্মত আরজিনা এই তিন জেএমবি সদস্যকে গতকাল সোমাবার বান্দরবান ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়েছে। এই তিন জেএমবি সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি বাইশারী চাক পাড়ার বৌদ্ধ ভিক্ষু হত্যাকান্ডের মামলার আসামী হিসেবে দেখানো হয়েছে। আগামী জুনের ১৯ তারিখ শুনানীর দিন ধার্য করেছে আদালত। ওইদিন রিমান্ডের আবেদন জানাবে জিআরও (জেনারেল রেজিষ্টার অফিসার)। নাইক্ষ্যংছড়ি থানার আবেদনের প্রেক্ষিতে তিন জেএমবি সদস্যকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে নিয়ে এসে বান্দরবান ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিয়ে আসা হয়। সোমবার সকালে আদালতে তাদেরকে নিয়ে আসা হয়। পরে অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: আবু হানিফ আদালতে তিন জেএমবি সদস্যকে হাজির করা হয়। তার আগে আদালতের দুই ফটকের সামনে ও আদালত চত্ত্বরে নিরাপত্তা জোরদার করে পুলিশ। আলাদা আলাদা প্রিজন ভ্যানে করে তিনজনকে আলাদতে আনা হয়। কড়া নিরাপত্তা জোরদার করতে প্রিজন ভ্যানের সামনে-পেছনে পুলিশের গাড়ী ছিল। আদালতে চত্ত্বরে পুলিশ প্রথমে আরজিনাকে পরে হাসান ও জহিরুলকে নিয়ে আসে। আদালতের ভেতরে এক ঘন্টা থাকার পর আবার পুলিশ ভ্যানে তাদেরকে উঠানো হয়। জানা গেছে, নাইক্ষংছড়ি আলোচিত বৌদ্ধ ভিক্ষু হত্যাকান্ড সংঘটিত হয় গত বছর মে মাসের ১৩ তারিখে। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের চাক পাড়ার একটি বৌদ্ধ বিহারে। বৌদ্ধ ভিক্ষু উ ধাম্মা ওয়াইশাকে (৭৫) রাতের আধারে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। হত্যাকান্ডের শিকার বৌদ্ধ ভিক্ষুর পূর্ব কোনো শত্রুতা ছিল না। জমিজমা, টাকা-পঁয়সা বা অন্য কোনো কিছু নিয়ে কারোর সঙ্গে কোনো বিরোধ ছিল না। তিনি একাকি গ্রাম বা পাড়া থেকে দূরে বৌদ্ধ মন্দিরে একাকি ধ্যান সাধনায় মগ্ন থাকতেন। ওইদিন রাতে দুর্বৃত্তরা বৌদ্ধ মন্দিরে প্রবেশ করে বৌদ্ধ ভিক্ষুকে গলা কেটে হত্যা করে।

ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের জিআরও (জেনারেল রেজিষ্টার অফিসার) মো: জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বৌদ্ধ ভিক্ষু হত্যাকান্ডের ঘটনায় অজ্ঞাত নামা বেশ কয়েকজনের নামে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় ঘটনার দুইদিন পর অর্থাৎ মে মাসের ১৫ তারিখে মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নং ৬। জিআর ১৩০/১৬। ঘটনার পরদিনই তিনজনকে আটক করে পুলিশ। তিনজনের মধ্যে জামিনে আছে দুইজন জিয়াউর রহমান ও নূরুল আলম। জামিন নেওয়ার পর জিয়াউর রহমান পলাতক থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেছে আদালত। আগামী জুন মাসের ১৯ তারিখ শুনানী দিন ধার্য আছে। ওইদিন রিমান্ডের আবেদন করা হবে।